জাতীয় অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান অপরিসীম বলে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য এ খাতের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সরকার এবং অংশীজনদের সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে টেলিযোগাযোগ রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। এর ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত হচ্ছে অপরিহার্য একটি বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে দেশে তিনটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হয়। ভিস্যাটের মাধ্যমে চালু হয় ইন্টারনেট। এরই ধারাবাহিকতায় এ খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। আমরা দেশে এখন এক এমবিপিএস ইন্টারনেট মাত্র ৬০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছি। ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো, সাড়ে সাত লাখ ছিল এর ব্যবহারকারী। বর্তমানে ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবহার করছে ১৩ কোটি গ্রাহক। দেশে ৪৫ হাজার মোবাইল বিটিএস স্থাপিত হয়েছে এবং দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, এমটব সভাপতি ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম, এফআইসিসিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাব্বির এবং টিআরএনবি সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটব সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার।