কটন টেক্সটাইল শিল্প খাতের শ্রমিকদের জন্য নতুন নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছে সরকার। এ খাতের জন্য সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ১ টাকা। যা আগের ঘোষিত নূন্যতম মজুরির তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এ খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন সর্বনিম্ন মজুরি ছিল ৫ হাজার ৭১০ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী ‘কটন টেক্সটাইল’ শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বর মাসে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তাতে পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন পোশাকশ্রমিকেরা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, গ্রেড ও এলাকাভেদে কটন টেক্সটাইল খাতে নিম্নতম মজুরি হবে ১০ হাজার ১ টাকা, আর সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৫৯৮ টাকা। মোট ১০টি গ্রেডে এসব মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রেডে মজুরির ক্ষেত্রে বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা—এলাকাভিত্তিক এই তিন শ্রেণি রাখা হয়েছে। তিন শ্রেণিতেই শ্রমিকদের মধ্যে মূল মজুরি, চিকিৎসা ও খাদ্য ভাতা সমান রাখা হয়েছে। তবে বাড়িভাড়া ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভাতায় পার্থক্য রয়েছে।
নতুন কাঠামোতে সর্বশেষ বা দশম গ্রেডে শ্রমিক হিসেবে ধরা হয়েছে স্পিনিং, উইভিং ও তাঁতকাজের সহকারীকে। উপজেলা পর্যায়ের এ ধরনের শ্রমিকের নিম্নতম মূল মজুরি ৫ হাজার ১৬২ টাকা এবং অন্যান্য ভাতা মিলিয়ে মোট নিম্নতম মজুরি হবে ১০ হাজার ১ টাকা। জেলা শহরের ক্ষেত্রে এ মজুরি হবে ১০ হাজার ৩৫৯ টাকা ও বিভাগীয় শহরে ১০ হাজার ৮৭৫ টাকা। সর্বোচ্চ বা প্রথম গ্রেডে শ্রমিক হিসেবে রয়েছেন কার্পেন্টার, ওয়েল্ডার, ফিটারসহ বিভিন্ন পরিচালনা কাজের প্রধান বা জ্যেষ্ঠ কর্মীরা। বিভাগীয় শহরে এই গ্রেডের শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৮ টাকা, জেলা পর্যায়ে ১৪ হাজার ৮০৪ টাকা এবং উপজেলা ও অন্যান্য এলাকায় ১৪ হাজার ৩০৭ টাকা।
এ ছাড়া শিক্ষানবিশ শ্রমিকের ক্ষেত্রে নিম্নতম মজুরি ৭ হাজার ৫০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৪ হাজার ১০০ টাকা। এ খাতে শ্রমিকের শিক্ষানবিশকাল ধরা হয়েছে তিন মাস।
এমআই