আর মাত্র কয়েকদিন পরেই আনন্দে মাতবে পুরো দেশ। তাই স্বজনদেন কাছে ফিরতে গ্রামের পানে ছুটেছেন মানুষ। এই ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় বাড়ছে। অন্যান্যবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ থাকলেও এবার ট্রেনে ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনেও তেমনটি দেখা যায়নি। মানুষ স্বস্তি নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন।
আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে, গত চারদিনের তুলনায় আজ যাত্রীচাপ বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে যাত্রী তুলনামূলক কিছুটা বেড়েছে। তবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনে যাত্রীচাপ সেই তুলনায় কম।
সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে স্টেশনে। লাইন ধরে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছেন যাত্রীরা। তবে টিকিটবিহীন যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবারও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিনা টিকিটে কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঈদযাত্রায় টিকিটের ব্যবস্থা শতভাগ অনলাইনে বিক্রির কারণে বিগত সময়ের মতো রাত জেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি যাত্রীদের। তবে যারা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের জন্য স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানেও তেমন ভিড় নেই। সহজেই টিকিট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন তারা।
ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনেও অধিকাংশ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা। শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজশাহীর আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা করলেও আজ সঠিক সময়ে যাত্রা করেছে।
এছাড়া অন্যসব ট্রেনও শিডিউল মেনেই কমলাপুর ছাড়ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে। কমলাপুরে প্রতিটি ট্রেনই অনেকটা ফাঁকা ছিল, ফলে স্বস্তি নিয়ে নাড়ির টানে ছুটছেন যাত্রীরা। ঘরমুখো যাত্রীদের চোখেমুখেও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
রাজধানীর কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে এবার ভাগ করে ছাড়া হচ্ছে ট্রেন। ফলে কমলাপুরে চাপ কিছুটা কম। যাত্রার পঞ্চম দিনে ৪২টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২টি ঈদ স্পেশাল আন্তঃনগর ট্রেন।
কাফি