জাকাতদাতার সরাসরি উর্ধ্বতন যেমন-পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানি উপরের দিকে ও অধস্তন যেমন-পুত্র-কন্যা, পৌত্র-পৌত্রী, দোহিত্র-দোহিত্রী, এভাবে নীচের দিকের কেউ যাকাত নিতে পারবে না। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে জাকাত দিতে পারবে না।
এ ছাড়া অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন যেমন, ভাই-বোন, চাচা-চাচি, মামা-মামি, খালা-খালু, ফুফা-ফুফু ইত্যাদি জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত দরিদ্র হলে তাদেরকে জাকাত দেওয়া যাবে।
জাকাত ফরজ ইবাদত, জাকাত করুণার দান নয়, দয়া দাক্ষিণ্যও নয়; এটি বঞ্চিতদের পাওনা অধিকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে বঞ্চিত যাঞ্চাকারীদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯; সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ২৪-২৫)।
সদকাতুল ফিতর ও জাকাত এবং যেকোনো ফরজ-ওয়াজিব সদকা, যা নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয় এবং যেসব শুধুই গরিবের হক। তাই দেওয়ার আগে তিনি প্রকৃত হকদার কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে। তবে সেসব প্রদান করার ক্ষেত্রে গ্রহীতাকে এমন বলার প্রয়োজন নেই, ‘এটা জাকাত’ বা ‘এটা ফিতরা’। এমনভাবে বলা উচিতও নয়; কেননা এতে গ্রহীতা লজ্জিত, অপমানিত বোধ করবেন। শুধু ফরজ-ওয়াজিব দান নয়, বরং নফল দানখয়রাতের মাধ্যমেও কাউকে অসম্মান করা যাবে না। সূত্র: সুনানে বায়হাকী ৭/২৮; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৬৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/২০৬-২০৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/১৬২; আদ্দুররুল মুখতার