কোনো স্কেলভুক্ত মাস্টাররোল কর্মী এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক (মাস্টাররোল) কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে তার পরিবারকে এককালীন অনুদান ৮ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ডিএনসিসির করপোরেশন সভায় এমন প্রস্তাব অনুমোদন দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১ এপ্রিল ডিএনসিসির অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির এক সভায় তা প্রস্তাব করা হয়।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ওই দিন সদস্য-সচিব সভাকে জানান যে, মেয়র গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নগর ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নিজ কর্মস্থলে কর্মরত অবস্থায় মর্মান্তিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিচ্ছন্নকর্মী মরহুমা আমেনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং ডিএনসিসিতে নিয়োজিত কোনো স্কেলভুক্ত মাস্টাররোল কর্মী এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক/কর্মী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন অনুদান আট লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সভায় ১৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বলেন, ডিএনসিসিতে নিয়োজিত স্কেলভুক্ত মাস্টাররোল কর্মী এবং দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক/কর্মীরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখে। তারা বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন, কেউ ব্যস্ততম রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন, কেউ দুর্গন্ধময় ড্রেনে নেমে ময়লা পরিষ্কার করছেন, কেউ খালে-বিলে মশার ওষুধ দিচ্ছেন, কেউ বা সড়কের বৈদ্যুতিক বাতি সচল রাখতে কাজ করছেন। এগুলো ছাড়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তারা প্রতিনিয়ত কর্মরত রয়েছেন। ডিএনসিসির স্বার্থে তাদের এরূপ জীবন ঝুঁকি নেওয়ার ফলে কেউ মৃত্যুবরণ করলে বা পঙ্গুত্ববরণ করার কারণে অক্ষম হয়ে পরলে তাদের পরিবারের পাশে ডিএনসিসির দাঁড়ানো উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তখন জামাল মোস্তফা একমত পোষণ করে বলেন, ডিএনসিসির নানাবিধ কাজের মধ্যে কোনোগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলা হবে তার তালিকা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানকে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডিএনসিসিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্বররণ করলে এককালীন আট লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আজ ডিএনসিসির নগর ভবনে করপোরেশন সভায় তা অনুমোদন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।