২০২৪ সালের বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। শীর্ষ দশে কিছুটা রদবদল হলেও ঘুরেফিরে কার্যত একই ব্যক্তিদের নাম এসেছে। তবে এই তালিকায় কিছু চমকও রয়েছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান। সম্পদের হিসাবে বৈশ্বিক তালিকায় অবশ্য অনেক পেছনে রয়েছেন তিনি। ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় ৬৯ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী রয়েছেন ২ হাজার ৫৪৫তম স্থানে।
আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
জ্বালানি, বন্দর, ফাইবার অপটিকস এবং রিয়েল এস্টেটসের ব্যবসা রয়েছে তার মালিকানাধীন সামিট গ্রুপের। আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করেন। ছোট্ট দেশটির শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ফোর্বসের হিসাবে, বিশ্বে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৭৮১ জন, যা গত বছরের তুলনায় ১৪১ জন বেশি। তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার বেশি।
তবে অধিকাংশ সম্পদই শীর্ষ ২০ জনের দখলে। ২০২৩ সালের পর তারা সমন্বিতভাবে ৭০০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছেন।
বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮১৩ জন স্থান পেয়েছেন, তাদের সমন্বিত সম্পত্তির পরিমাণ ৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
৪৭৩ জন নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। দেশটির বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
২০০ জন বিলিয়নিয়ার নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তাদের সমন্বিত সম্পত্তির পরিমাণ ৯৫৪ বিলিয়ন ডলার।
এককভাবে ২৩৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে ধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন ফরাসি ব্যবসায়ী ও এলভিএমএইচের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।
তৃতীয় হয়েছেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস, চতুর্থ মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ, পঞ্চম ওরাকলের ল্যারি এলিসন, ষষ্ঠ বার্কশায়ার হাথওয়ের ওয়ারেন বাফেট, সপ্তম মাইক্রোসফটের বিল গেটস, অষ্টম মাইক্রোসফটের স্টিভ বালমার, নবম রিলায়েন্স গ্রুপের মুকেশ আম্বানি এবং ১০ম স্থানে রয়েছেন গুগলের সাবেক সিইও ল্যারি পেজ।
প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মার্কিন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট। এক ট্যুরেই তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস ভেঙে কামিয়েছেন প্রায় ১০০ কোটি ডলার। পোলস্টারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে চলা এরাস ট্যুরের প্রথম ৬০টি শো থেকেই আয় হয়েছে ১০৪ কোটি ডলার। এই ট্যুরের ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশের শো এখনো বাকি।
এশিয়ার প্রথম ব্যবসায়ী হিসেবে ১০ হাজার কোটি ডলারের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন ভারতের মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আওতায় নানা ধরনের ব্যবসা থেকে এই অর্থ উপার্জন করেছেন তিনি। আম্বানির সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার।