ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকরির সুযোগ দিচ্ছে রানার গ্রুপ

শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান রানার গ্রুপে ‘অফিসার/সিনিয়র অফিসার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: রানার গ্রুপ
বিভাগের নাম: সেলস ডিভিশন
পদের নাম: অফিসার/সিনিয়র অফিসার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ (মার্কেটিং)
অভিজ্ঞতা: ০১-০৩ বছর। তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ২২-৩০ বছর
কর্মস্থল: যে কোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Runner Group এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ এপ্রিল ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটে ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ‘ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হামলার’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানান তারা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ছাত্রদলের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটের মতো রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পর প্রথম ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মতো সন্ত্রাসী হামলা করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকে কুয়েটে যে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে সেটা ইবিতেও হতে পারে। সন্ত্রাসীদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি। কুয়েটের প্রশাসনকে বলবো তাদেরকে ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। যেভাবে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালাতো একইভাবে আজকের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের পরিণয় থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি সহ সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, দেশের সব থেকে বড় সন্ত্রাস শেখ হাসিনা ছাত্রদের বিপক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছিল তখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে আমরা দ্বিধাবোধ করিনি। নতুন পুরাতন পাখা গজানো যে কেউ ছাত্রদের পেছনে লাগতে আসে তাহলে বাংলার ছাত্র সমাজ কোনভাবে ছাড় দিবে না। দল-মত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
এসময় ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় যখন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হামলা করে তখন আমরা সেই কার্যক্রমকে সন্ত্রাসী বলেছিলাম তেমনি বর্তমান যদি সন্ত্রাস ছাত্রদল হয়ে থাকে আমার সন্ত্রাসী বলতে আপত্তি নাই। কুয়েটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবকে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা যেভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে সেভাবে তাদের নাম ধরে বলতে চাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে সেই মূহুর্তে শেখ হাসিনার দোসররা সারা বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সে ছাত্রদল কিংবা শিবির হোক বা ডান বাম সে যেই হোক না কেন, যদি দেশ সংস্কারে সন্ত্রাসী কায়দায় যেকোনো ধরনের হামলা সাথে জড়িত হয়, আমরা তাদের দ্রুত শাস্তি চাই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অর্থাৎ আমরা কারা অনেকে জানতে চায়, আমরা তারাই- ইদের পরে আন্দোলন করার মানুষ নই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রলীগ নেতাকে ধরিয়ে থানায় দিতে পারেন তাহলে পাঁচশ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটে ছাত্রদল-সাধারণ শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে আজ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ১৮ জনকে দায়ী করে তাদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল, ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন।
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে রিসার্চ সোসাইটির নবীনবরণ ও কর্মশালা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘রিসার্চ ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গবেষণা ও ইয়ুথ রিসার্চ লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২নং কক্ষে (গ্যালারি) ইবি রিসার্চ সোসাইটির উদ্যাগে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আইআইইআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোছাইন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের মডারেটর ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালিদ হোসেন জুয়েল এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গবেষণা সংসদ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম সাদেক এবং আইআইডি এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মুহাম্মদ তানভীরুল ইসলাম সহ সংগঠনটির প্রায় দুই শতাধিক নবীন সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, গবেষণার আলোয় আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে আমাদের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। নবীনদের উৎসাহিত করা, গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য আমরা নিয়মিত গবেষণা-কেন্দ্রিক কর্মশালা, সভা ও সেমিনারের আয়োজন করছি। আজকের এই আয়োজনও সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।
অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গবেষণা বিষয়ক একটি সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা ও ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, গবেষণা মানুষের চিন্তার দুয়ার করে উন্মুক্ত করে দেয়। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গবেষণার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির ট্যুরিজম বিভাগের সাথে সিকিউরিটিজ মার্কেটের চুক্তি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাথে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডার্স্ট্যান্ডিং চুক্তি এবং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিকিউরিটি মার্কেট শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৬১৪নং কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ইয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সেশন কন্ডাক্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটেরে সাদ্দাম হোসেন খান ও রিজভী আহমেদ। এসময় বিভাগটির অন্যান্য শিক্ষকসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটেসের প্রতিনিধিরা বিভাগটির সাথে সহোযোগিতা মূলক একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তারই অংশ হিসেবে একজন নবীন সদস্য সিকিউরিটিজ মার্কেটে প্রবেশ করে কিভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে সে বিষয়ে ট্রেনিং প্রোগ্রাম করেন এবং ভবিষ্যতে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উক্ত খ্যাতে প্রবেশ করলে তাদের সহায়তার কথা ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি দল।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার করা। সেই লক্ষ্যে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের ম্যাসেজটা পৌঁছে দিতে এই সেশন। একটা শিক্ষিত বিনিয়োগ বাজার তৈরির লক্ষ্যেই আমারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে এ কর্মশালাগুলো করছি। ভবিষ্যতে যেন তারা সিকিউরিটিজ মার্কেট বিজনেসের জন্য ভালো ভাবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম বিভাগের সাথে এই এমওইউ চুক্তির মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আর্থিক সাপোর্ট থেকে শুরু বিনিয়োগ ক্ষেত্রের অন্যান্য সাপোর্ট প্রদান করতে পারবো।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, শুধু একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। বর্তমান চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে বাঁচতে হলে বাস্তব জ্ঞান দরকার৷ বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু দিতে পারে না৷ তাই বাস্তবিক জ্ঞান ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ একাডেমি সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) সাথে পাঁচ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তাদের কাজের অংশ হিসেবে আজকে একটি ট্রেইনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
হাসিনার বিভাজনের রাজনীতিকে ব্যর্থ প্রমাণ করেছে ছাত্র-জনতা: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের আমির মাওলানা মো. মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হলো বিভাজনের রাজনীতি করা। সকল শিক্ষার্থীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক হয়ে সেই ষড়যন্ত্রকে উৎখাত করে দিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। জাতি প্রস্তুত পুরো দেশ ইসলামের সমাজ দেখতে। তবে এই যুব সমাজ এখন সুসংগঠিত না। বিভিন্ন ফারাক দেখতে পাচ্ছি।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইবি শাখার আয়োজনে ‘জুলাই পরবর্তী করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
আমির বলেন, বিগত ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ যেভাবে জুলুম অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হলে আল্লাহ পাক তাদের ক্ষমা করে দিবে না। অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। সম্প্রতি আয়না ঘরের যে দৃশ্য মাননীয় উপদেষ্টা উন্মোচন করেছে সেই ঘরে আমরা আর ফিরে যেতে চাই না।
এই যাবৎ সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছে ‘ইসলাম’। যারা রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের শুধু জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং চরিত্র হনন করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। পশ্চিমা রাষ্ট্রে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করলে বা মানুষ মারলে তাদেরকে জঙ্গিবাদী বলা হয় না, কিন্তু ইসলাম নিয়ে কিছু বললেই জঙ্গিবাদ ট্যাং দিয়ে দেয় তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে যুব সমাজ যেভাবে বাধঁভাঙ্গার জোয়ার দেখে আমি আশাবাদী। যুবকরা সব ধরনের সমাজ ব্যবস্থা দেখেছে কিন্তু ইসলামের সমাজ ব্যবস্থা দেখেনি। বিপুল উদ্দীপনার মাধ্যমে তারা ইসলামের সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চান। বড় কোনো নেতারা যা পারিনি তা ছাত্র সমাজ করে দেখিয়েছে। এই ছাত্র সমাজকে সুসংগঠিত করতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর হবে বলে মনে করি। এখানকার সংবিধান হবে আল কুরআন, আইন হবে আল্লাহর।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আগাগোড়া পুরো জায়গায় ইসলামকে দেখতে চাই। যদি ইসলামকে ধারণ করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকতা থাকবে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কপাল জুড়ে ইসলাম রয়েছে। যদি কাজ করতে না পারেন তাহলে নাম পাল্টায় ফেলেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ইসলাম সম্পর্কে তেমন জ্ঞান রাখে না ঠিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার স্বার্থকতা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের প্রতি বিষয়গুলো নজর রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, সুবক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলায়েত যুব মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মৌলানা আতাউল্লাহ আমিন-সহ ক্যাম্পাসে অন্যান্য শিক্ষক ও ক্রিয়াশীল সংগঠনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি