বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা সিগারেট বিক্রি, মজুদ, সরবরাহ নিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। সংস্থাটি জানায়, অবৈধভাবে বিদেশি সিগারেট বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি এনবিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধি বিধান না মেনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার শপ, শপিংমল ও সাধারণ মুদি দোকানে চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশি সিগারেট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব সিগারেট বাজারজাতকরণের ফলে আইন ভঙ্গের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একইসাথে সরকার হারাচ্ছে তার কাঙিক্ষত রাজস্ব। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কাস্টমস আইন এবং আমদানি নীতি আদেশে উল্লিখিত বিধি বিধান লঙ্ঘন করে বিদেশী সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বাজারজাত এবং বিক্রি করা চোরাচালান হিসেবে গণ্য এবং আইননত দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরি, মজুদ, সরবরাহ, বিক্রি ও ব্যবহার দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এসব চোরাচালানের সাথে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
দেশের আমদানি নীতি অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আমদানিযোগ্য সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ “ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর” স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। তবে বন্ডেড ওয়্যারহাউস কর্তৃক সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে অন্য ভাষা ব্যবহার করা যাবে।
দেশের উন্নয়নে কর-জিডিপি বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কর-জিডিপি হার বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে সিগারেট খাত থেকে সরকারের ২৯ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ রাজস্ব মোট মূসক আদায়ের ২৮ শতাংশ। চোরাচালান বন্ধের পাশাপাশি এ খাত সঠিকভাবে মনিটরিং করতে পারলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়ানো সম্ভব বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদ/এমআই