ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রাজধানীর ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজার থেকে টিসিবির কার্ডধারী পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তারা এ পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবনের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে এই পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আরও উপস্থিত ছিলেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান।
অনুষ্ঠানে টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন, সচিবালয় ও প্রেসক্লাবের সামনেসহ ঢাকার ১০৩ জায়গায় ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। একই কায়দায় চট্টগ্রামের ৫০ ও গাজীপুরের ১৫ থেকে ২০টি জায়গায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ১০ টন করে পেঁয়াজ থাকবে এবং প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীসহ যে কেউ ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান জানান, দেশে পেঁয়াজের যে চাহিদা রয়েছে, সেই পরিমাণ উৎপাদন হয় না। কিছুটা ঘাটতি থাকে। যে কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি আমাদের জন্য সুবিধাজনক। কারণ, ভারতের পেঁয়াজ আমাদের দেশি পেঁয়াজের কাছাকাছি এবং দামও কিছুটা কম।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশের বাজারে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং দামও সুবিধাজনক স্থানে ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজস্ব উদ্যোগে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারতের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে পেঁয়াজ আমদানি উদ্যোগ নেন। নেগোসিয়েশনে ভারতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির কথা দেয়৷ তারই প্রথম চালান হিসেবে গত পরশু ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সেটিই এখন টিসিবির ট্রাক সেলের মাধ্যমে উন্মুক্তভাবে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাফি