ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ভিয়েতনামের চাল রফতানি ২.১ শতাংশ বেড়েছে

ভিয়েতনাম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চাল রফতানিকারক। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শস্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে রফতানি আয়ে। দেশটির সরকারি তথ্যে এমনটা জানা গেছে।

জেনারেল স্ট্যাটিসটিকস অফিস জানায়, জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ভিয়েতনাম ২১ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১৩৭ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

ভিয়েতনামিজ চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই চলতি সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশটি প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে ৫৯০-৫৯৫ ডলারে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনামিজ চাল বর্তমানে তুলনামূলক সাশ্রয়ী। মৌসুম শেষে স্থানীয় বাজারে নতুন সরবরাহ আসতে যাচ্ছে। তাছাড়া আগের মৌসুমের মজুদও অবশিষ্ট আছে।

এদিকে প্রথম প্রান্তিকে বাড়লেও বছর শেষে ভিয়েতনামের চাল রফতানি কমে ৬৫-৭০ লাখ টনে নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বার্ষিক রফতানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নিম্নমুখী চাপে পড়বে রফতানি। এমনটা জানিয়েছে দেশটির ফুড অ্যাসোসিয়েশন। ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত বছর দেশটি চাল রফতানি করেছে ৮১ লাখ টন। সে হিসাবে চলতি বছর রফতানি ১১-১৬ লাখ টন কমতে পারে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশ বৈশ্বিক চাল রফতানিতে তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ভারত ও থাইল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান। দেশটি চাল রফতানি কমানোর পরিকল্পনা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চাল রফতানি অর্ধেক কমিয়ে ৪০ লাখ টনে আনবে বলে জানিয়েছে দেশটি। বর্তমানে রফতানির পরিমাণের বদলে গুণগত মান বৃদ্ধি এবং উচ্চমূল্যের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে ভিয়েতনাম। পাশাপাশি স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রফতানি কমানোর পেছনে বড় কারণ।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার