রেকর্ড ছুঁয়েই জিতল ক্লপের লিভারপুল

রেকর্ড ছুঁয়েই জিতল ক্লপের লিভারপুল
লিভারপুলের এ মৌসুমের গল্পটা আর ২০১১-১২ মৌসুমের মতো হচ্ছে না। ২০১১-১২ মৌসুমে ঘরের মাঠে টানা ৩ ম্যাচে আগে গোল খেয়েছিল লিভারপুল। সেবার সেই তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি অলরেডরা। সেই মৌসুমের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে প্রথম গোল হজম করতে হয়েছে লিভারপুলকে। তবে এবারের গল্পটা ভিন্ন। ঘরের মাঠে আগে গোল খেয়েও দুটি ম্যাচই জিতে নিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এ মৌসুমে ঘরের মাঠে আগে গােল খেয়েও আর্সেনালের বিপক্ষে জিতেছে লিভারপুল। আজ আগে গোল খেয়েও জিতল ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে। মোহামেদ সালাহ ও দিয়োগো জোতার গোলে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচটি তারা জিতেছে ২-১ গোলে।

ঘরের মাঠে খুব ভালো শুরু করতে পারেনি লিভারপুল। উল্টো ক্লপের দলকে চাপে রাখে আতিথ্য নিতে আসা ওয়েস্ট হাম। এর সুফলও তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ১০ মিনিটেই। সেটা অবশ্য লিভারপুলের রক্ষণের ভুলেই। ভার্জিল ফন ডাইকের পর চোটে পড়েছেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফাবিনিও। সব মিলিয়ে অনেকটাই দুবর্ল হয়ে পড়ে লিভারপুলের রক্ষণ। কিন্তু গোমেজ একটু বেশিই দুবর্লতা দেখিয়ে ফেলেন। হেড করে একটি বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ওয়েস্ট হামের মিডফিল্ডার পাবলো ফোরনালসের পায়ে পাঠিয়ে দেন তিনি। অসাধারণ এক কিকে থালায় সাজানো বলটি জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফোরনালস।

গোলটি হজম করে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ১৫ গোল খাওয়া প্রথম দল হয়ে যায় লিভারপুল। এই গোলটির পর দুটি পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ফুটবল বিশ্বে। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে প্রথম সাত ম্যাচে ১৫ গোল খাওয়ার পরও শিরোপা জেতা সর্বশেষ দল শেফিল্ড ইউনাইটেড। তারা এই কীর্তি গড়েছিল ১৯২৮-১৯ মৌসুমে। এবার কি তাহলে লিগ জিতবে লিভারপুল?

এই প্রশ্নের সঙ্গে আরও একটি হিসেব উঠে আসে। ডেভিড ময়েজের অধীনে প্রিমিয়ার লিগে প্রথমে এগিয়ে যাওয়া ১৮টি ম্যাচের একটিতেও হারেনি ওয়েস্ট হাম। এবারও কি তাই হচ্ছে? শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ৪২ মিনিটে সমতায় ফেরে লিভারপুল। ত্রাতা সেই মোহামেদ সালাহ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মিসরের ফরোয়ার্ড। পেনাল্টিটি আদায় করেছেন নিজেই। বক্সের মধ্যে তাঁকে ফেলে দিয়েছেন ওয়েস্ট হামের মাসাউকু। ওয়েস্ট হামের এগিয়ে যাওয়া গোলেও অবদান ছিল তাঁরই।
সমতায় ফিরে ওয়েস্ট হামের রক্ষণের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি করতে থাকে লিভারপুল। সাদিও মানে, সালাহ ও জোতা মিলে একের পর এক আক্রমণ করে যান। শেষ পর্যন্ত সফলতা আসে ৮৫ মিনিটে। দুর্দান্ত এক গোল করে লিভারপুলকে জয় এনে দেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা জোতা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল। একই সঙ্গে একটি ক্লাব রেকর্ডও ছুঁয়েছে ক্লপের দল। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১—এই সময়ে বব পায়েসলির লিভারপুলের ঘরের মাঠে ৬৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে লিভারপুল।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়