ক্যাটাগরি: জাতীয়

ঈদে মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে সাপ্তাহিক ছুটি ও শবে কদরের ছুটি। ঈদের পরও সাপ্তাহিক ছুটি এবং নববর্ষের ছুটি। ঈদের ছুটির আগে-পরে ১০ দিনের মধ্যে দুই দিন কর্ম দিবস। এই দুই দিন ছুটির দাবি তুলেছেন সরকারি চাকুরেরা। ছুটি বাড়ানো নিয়ে আলোচনার মধ্যে আশার আলো দেখছেন তারা। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিও ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

নির্বাহী আদেশে এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হলে ছয় দিন, আর দুই দিন ছুটি ঘোষণা হলে এক টানা ১০ দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঈদে ছয় দিন ছুটি মিলতে পারে। সোমবার মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল রোববার শবে কদরের ছুটি। এরপর ৮ ও ৯ এপ্রিল (সোম-মঙ্গলবার) অফিস খোলা। আর ১০-১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি। এই হিসেবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঁচ দিন ছুটি।

আগামী ৫ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের মধ্যে অফিস খোলা থাকা ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিন ছুটির দাবি তুলেছে সরকারি চাকুরেরা। তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিন ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।

এসব বিবেচনায় ঈদে নগরবাসী যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করেছে।

কমিটির সুপারিশ সোমবার (১ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রবিবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে আগের শনিবার (৬ এপ্রিল) অফিস করতে পারি কি না, সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সুপারিশ করেছি, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য একদিন মাত্র সময় পাবে। সেজন্য যানজট বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেজন্য ৯ এপ্রিল ছুটি বিবেচনা করা যায় কি না, এই সুপারিশ আমরা দেবো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এক দিন ছুটি বাড়ানোর জন্য সুপারিশ বিবেচনায় নিতে পারে মন্ত্রিসভা। অবশ্য তা প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভর করছে। তবে দুই দিন ছুটি বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। কারণ দুই দিন ছুটি বাড়ালে এক টানা ১০ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়বে গোটা দেশ। অন্যদিকে সরকারি ছুটি বাড়লেও বেসরকারি চাকুরেদের ছুটি না বাড়ায় তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভও দেখা দেয়।

তারা আরও বলেন, এরআগে গত বছর ঈদ-উল আজহা এবং ঈদ-উল ফিতরের ছুটি একদিন করে বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় পাঁচ দিন করে ছুটি মিলেছে। অবশ্য তা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার