ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

এক মাসে সূচক হারিয়েছে ৪২৫ পয়েন্ট, লেনদেন কমেছে ৫৩ শতাংশ

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা গিয়েছিলো। এ সময়ে সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এ সময়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৪২৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ।

ডিএসই ও ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, গত ফেব্রুয়ারি শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। মার্চ শেষে সূচকটি কমে ৫ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। এক মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪২৫ পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। গত মার্চে তা কমে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ।

বিশ্লেষকদের মতে, লোকসান এড়াতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা তীব্র হওয়ার কারণে মার্চ মাসে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে।

এক বছর ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ নিম্নমুখী। এর মধ্যে গত বছরের মার্চে ৪ কোটি ৫০ লাখ, এপ্রিলে ৫ কোটি ৪০ লাখ, মে মাসে ৮ কোটি ২০ লাখ, জুনে ৭ কোটি ৬০, জুলাইয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ, আগস্টে ৪ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৫ কোটি ৭০ লাখ, অক্টোবরে ৪ কোটি ২০ লাখ, নভেম্বরে ৩ কোটি ৯০ লাখ, ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৯০ লাখ ও গত জানুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।

সূত্র মতে, মার্চে দেশের পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে ৭০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে বাজার মূলধন ছিল ৬ হাজার ৯৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা মার্চ শেষে ৬ হাজার ২২৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্চে জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৩ দশমিক শূন্য ২।

গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ৭৫ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ৪৬৭ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। রোববার ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৩টি কোম্পানির, বিপরীতে ৭৪ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার