আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি পেতে যাচ্ছে দেশবাসী। সংগত কারণে চাপ বাড়বে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদকে টার্গেট করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে, ঈদে কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টার কমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টার কমের মাধ্যমে টুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবে। বিচে নির্দিষ্ট স্থানে সুইচ থাকবে। বিপদগ্রস্ত বা সমস্যাগ্রস্ত কোনো পর্যটক সেই সুইচে চাপ দিলে নিকটস্থ ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হবেন।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবু কালাম সিদ্দিক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান বলেন, World Economic Forum এর তথ্যমতে জিডিপিতে ট্যুরিজমের অবদান ২০১৩ সালে ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এ সাফল্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ অন্যতম অংশীদার।
তিনি বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসাবে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ছুটি, ১৩ এপ্রিল সপ্তাহিক বন্ধ এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটিতে পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম আশা করা যাচ্ছে।
‘এই সময়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ সাজেক ভ্যালিতে এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। সেন্ট্রাল সিসি টিভি মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে কক্সবাজার বিচের সব কার্যক্রমসহ দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকার টুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম মনিটর করা হবে। বলেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টার কমিং সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টার কমের মাধ্যমে টুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে পারবে।
কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি অ্যালার্মিং বাটন লাগানো হচ্ছে। এর ফলে কোনো পর্যটক কোনো সমস্যায় পড়লে বাটনে চাপ তা টুরিস্ট পুলিশ বক্সে আওয়াজ তৈরি করবে এবং পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই বাটন এলাকায় হাজির হবে।
প্রতিটি বিচে ফ্রি মোবাইল ফোন সিস্টেম দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান বলেন, যেখান থেকে পর্যটক সরাসরি টুরিস্ট পুলিশ তথা সেন্টারে হোয়াটসঅ্যাপ এবং কল করতে পারবেন। এছাড়াও সম্প্রতি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঘোড়ার গাড়ি ও ময়ূরপঙ্খী বিচ বাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তায় টহল ডিউটি প্রদান করা হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা, গাজীপুর ইউনিটের প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ১০৪টি ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।