রমজানের শেষ দশকের ফজিলত ও বরকত পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো ইতিকাফ। ইতিকাফের সময় একজন মানুষ দুনিয়ার অন্যসব ব্যস্ততা ছেড়ে নিজেকে আল্লাহর জন্য সপে দেন আল্লাহর ঘর মসজিদে। এখানে পুরোটা সময় তিনি ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন।
ইতিকাফ একটি আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ হল অবস্থান করা, সাধনা করা আবদ্ধ করা। শরীয়তের পরিভাষায়, ইতিকাফের নিয়তে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদে অথবা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। মহল্লার কিছু মানুষ ইতিকাফ করলে সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে আর কেউ না করলে সকলেই এর দায়ভার বহন করবে।
ইতিকাফের শর্ত
১. মুসলমান হওয়া ২. পাগল না হওয়া ৩. বুঝমান হওয়া, প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়া শর্ত নয়। তাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বুঝমান হলেও তার ইতিকাফ সহীহ হবে।
৪. শরয়ী মসজিদ হওয়া। যে মসজিদে ইতিকাফ করবে সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে হওয়া জরুরি, চাই তা পাঞ্জেগান মসজিদ হোক বা জুমার মসজিদ হোক।
৫.ওয়াজিব বা সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজা রাখা। ৬. মাসিক পিরিয়ড ও বাচ্চা প্রসব পরবর্তী পিরিয়ড থেকে মুক্ত থাকা।
উল্লেখ্য, ইতিকাফ অবস্থায় গোসল ফরজ হলে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না তবে খুব দ্রুত পবিত্র হওয়া আবশ্যক এবং এ অবস্থায় থাকা তার জন্য হারাম। (ফতওয়া শামী -৪৩০)।