ক্যাটাগরি: জাতীয়

পরকীয়ায় বেড়েছে তালাকের হার, গ্রামেই ১৬ শতাংশ

দেশে বিয়ের হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে তালাকের হারও। তবে শহরের তুলনায় তালাকের হার গ্রামে বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল (প্রতি হাজারে) ১৫ দশমিক ৭, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ১। আর ২০২১ সালে ছিল ১৩ দশমিক ৫। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অন্যদিকে তালাক দেওয়ার হারও কমে ১ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে গ্রামে তালাক বাড়ার বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন।

২০২২ সালে বিয়ে বেশি হওয়ার বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারণে অনেক বিয়েশাদি হয়নি। করোনা-পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তাই বিয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তা কমেছে।

গ্রামে তালাক বেশি

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে ছিল প্রতি হাজারে বিয়ে ১২, গ্রামে এই হার ১৬ দশমিক ৮। ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮ আর গ্রামে ১৯ দশমিক ৫। আবার অপরদিকে তালাকের হার গ্রামে বেশি, ২০২৩ সালে ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর শহরে এ হার দশমিক ৯ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ১ শতাংশ।

তালাকের কারণ পরকীয়া

বিবিএসের জরিপের দেখা যায়, তালাকের বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এর পর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতাকে কারণ হিসেবে বলেছেন ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অক্ষমতা অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার