ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

চলতি বছরে বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য আমদানি করতে যাচ্ছে চীন

বিশ্বে কৃষিপণ্য আমদানিতে শীর্ষ দেশ হচ্ছে চীন। গত বছর দেশটিতে এসব পণ্য আমদানি বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। চলতি বছরও আমদানির পরিমাণ কাছাকাছি অবস্থান করবে। স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা পূরণে আমদানি বাড়াচ্ছে দেশটি। এক্ষেত্রে সুবিধা দিচ্ছে নিম্নমুখী আন্তর্জাতিক দাম।

চীনের শুল্ক বিভাগের দেয়া সাম্প্রতিক তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে গম আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চার গুণ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১০ লাখ টন অস্ট্রেলিয়ান গমের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে চীন। এর পরও দেশটির আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

চীন সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকেই আমদানি ক্রয়াদেশ বাতিল করছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ লাখ টন গমের ক্রয়াদেশ বাতিল করা হয়েছে। এতে দেশটিতে কৃষিপণ্যের চাহিদা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষ ভোক্তা দেশটি ক্রয়াদেশ বাতিল করায় বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম নিম্নমুখী চাপের মুখে পড়ছে।

তবে ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা জানান, কৃষিপণ্যের আমদানি ক্রয়াদেশ বাতিল করার বিষয়টি চাহিদায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কারণ দাম কম থাকায় অন্য উৎস থেকে দেশটি সহজেই আমদানি করতে পারবে। তাছাড়া খাদ্যশস্য ও তেলবীজের মজুদ বাড়াতে সরকারি উদ্যোগও দেশটির আমদানি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।

গত বছর কৃষিপণ্য আমদানিতে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে চীন। বিশ্বজুড়ে রফতানি হওয়া সয়াবিনের ৬০ শতাংশই গেছে দেশটিতে। তেলবীজটির বেশির ভাগই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল থেকে।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গমেরও শীর্ষ ক্রেতা দেশ হয়ে উঠেছে চীন। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চমানের গম আমদানি করছে দেশটি। গত বছর ভুট্টা আমদানিতে প্রথম অবস্থানে ছিল চীন। পশুখাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দেশটিতে আকাশচুম্বী ছিল ভুট্টার দাম। এ কারণেই আমদানি রেকর্ড স্পর্শ করে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার