শুধু মোটরযান চালানোর ক্ষেত্রেই নয়, স্মার্টকার্ড যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় সেসব ক্ষেত্রে ‘ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স’ ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রবিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিআরটিএ কিউআর কোড সম্বলিত ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করছে। মোটরযান চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ডের মতো ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে বা স্মার্ট মোবাইল ফোনে তা প্রদর্শন করে মোটরযান চালনায় ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ভিসা প্রসেসিং, বিদেশে ব্যবহার, চাকরিতে নিয়োগ ইত্যাদি প্রয়োজনে মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড ও ‘ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স’ উভয়ই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদত্ত কিউআর কোড দিয়ে সরাসরি ডাটাবেজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করা যাবে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে গত বছর ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড জটিলতায় পড়ে বিআরটিএ। বাংলাদেশে ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট স্মার্টকার্ড তৈরির জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স (এমএসপি) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের এ সংস্থাটি। এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২০ সালের ২৯ জুলাই। ওই দিন থেকে ২০২৫ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি কাজ করবে। এই ৫ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ৪০ লাখ কার্ড প্রিন্ট করে সরবরাহ করার কথা। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি কার্ডসহ প্রিন্ট বাবদ ৩০০ টাকা ১৫ পয়সা খরচ ধরা হয়েছে। পুরো চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৬ লাখ টাকা।
কাফি