বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ হলো ইউরোপের দেশ স্পেনে। দেশটির একটি আদালত কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের টেলিগ্রাম ব্যবহার স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, স্পেনে আট্রেসমিডিয়া, ইজিইডিএ ও টেলিফোনিকার মতো কয়েকটি মিডিয়া কোম্পানির অনুরোধে আগামীকাল সোমবার সাময়িকভাবে টেলিগ্রাম ব্যবহার স্থগিত রাখা হবে। পরে ঠিক কবে এই অ্যাপ চালু হতে পারে, তা জানায়নি স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালে পাভেল দুরভ ও নিকোলাই দুরভ নামে রাশিয়ার দুই সহোদর প্রোগ্রামার ও গণিতবিদ টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। তারা রাশিয়ার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভিকোনটাকটেরও উদ্যোক্তা। তবে ‘এনক্রিপশন কি’ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় অনেক দেশ টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করে।
এর মধ্যে রয়েছে ইরাক, ইরান, ব্রাজিল ও সোমালিয়া। গত বছর ব্যবহার জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ করে ইরাক। অ্যাপের মাধ্যমে দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয় টেলিগ্রাম। অবশ্য কয়েক মাস পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
রাশিয়াতেও নিষিদ্ধ ছিল টেলিগ্রাম। গোপনীয়তার প্রশ্নে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে অ্যাপটি। প্রায় দুই বছর পর ২০২০ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় রাশিয়া।
বর্তমানে রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য মূল সেবা হয়ে উঠেছে অ্যাপটি। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি রাশিয়ার রাজনীতিক ও কূটনীতিকদেরকেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতে দেখা যায়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ায় অনেকগুলো চ্যানেল, ওয়েবসাইট বন্ধ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ কঠোর করা হয়। এর ফলে যুদ্ধের খবর পাওয়া রুশ নাগরিকদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে টেলিগ্রামকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেছে নেন তারা।
কাফি