দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। প্রায় এক যুগ আগে রপ্তানির প্রধান এ খাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র একটি। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ২১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। খাতের উদ্যোক্তারা জানান, সবুজ কারখানা তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বড় অবদান রাখছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও একটি পোশাক কারখানা। এ নিয়ে দেশের সবুজ কারখানা বেড়ে হলো ২১৪টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়। নতুন সনদ পাওয়া কারখানাটির নাম এপিএস নীট কমপোজিট লিমিটেড। গাজীপুর পূবাইলের কমরগাওয়ে অবস্থিত কারখানাটি।
২০১২ সালে পোশাকশিল্প উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু হয় দেশে। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত কারখানাটি হলো ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা।
শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, পরিবেশ বান্ধব (সবুজ) কারখানা মানে বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর পাওয়া। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত হওয়ায় বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা তৈরি হয়। আবার এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষিও করা যায়। এসব কারখানা দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) সনদপ্রাপ্ত আরএমজি কারখানার সংখ্যা বাংলাদেশে ২১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৮০টি, গোল্ড ১২০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৪টিতে। বিশ্বের সেরা কিছু কারখানার আবাসস্থল এখন বাংলাদেশে। বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে।