বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুসারে, পরপর দুই বছর এশিয়ার সবচেয়ে সুখী দেশ হলো সিঙ্গাপুর। এ জরিপে ঠাঁই পাওয়া মোট ১৪৩টি দেশের মধ্যে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর।
২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হয়েছে ফিনল্যান্ড; এরপরেই আছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড।
বিশ্বের কিছু শীর্ষ বিজ্ঞানী ও গবেষক মিলে প্রস্তুত করেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট। সুখী দেশের র্যাঙ্কিং তৈরি করার সময় গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোল-এর তথ্য ব্যবহার করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে এশিয়ার সবচেয়ে সুখী ১০টি দেশ হচ্ছে:
১. সিঙ্গাপুর
২. তাইওয়ান
৩. জাপান
৪. দক্ষিণ কোরিয়া
৫. ফিলিপাইন
৬. ভিয়েতনাম
৭. থাইল্যান্ড
৮. মালয়েশিয়া
৯. চীন
১০. মঙ্গোলিয়া
সুখী দেশের তালিকা তৈরি করতে বিশেষজ্ঞরা ছয়টি প্রধান ফ্যাক্টরের তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন: মাথাপিছু জিডিপি, প্রত্যাশিত সুখী জীবন, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির ধারণা।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব ফ্যাক্টর বিভিন্ন দেশের মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে। আর র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয় অংশগ্রহণকারীদের উত্তরের ওপর ভিত্তি করে। অংশগ্রহণকারীদেরকে তাদের নিজের জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ছয়টি ফ্যাক্টরের তথ্যসমূহ বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যালপ ওয়ার্ল্ড পোলের মতো সংস্থাগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের সহলেখক ও সম্পাদক শুন ওয়াং সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেন, ‘মাথাপিছু জিডিপির ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর খুব ভালো করেছে। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি সেরাদের কাতারে।’
এছাড়া দুর্নীতির ধারণা সূচকেও সিঙ্গাপুর খুব ভালো করেছে বলে জানান ওয়াং। সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি।
‘এর অর্থ হচ্ছে, সিঙ্গাপুরের সরকার সত্যিই পরিচ্ছন্ন [ভাবমূর্তির] এবং দেশটির মানুসের মধ্যে দুর্নীতি একেবারেই কম,’ বলেন তিনি।
চলতি বছরের প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ডেনমার্ক ও নরওয়ে যথাক্রমে ২য় ও ৭ম অবস্থানে রয়েছে।
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের আরেক সম্পাদক, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক জান-ইমানুয়েল ডি নিভ বলেন, প্রত্যাশিত সুস্থ জীবন দেওয়ার ক্ষেত্রেও সিঙ্গাপুর বেশ এগিয়ে আছে। এ কারণে দেশটির মানুস দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পেয়ে থাকেন।
তবে এসব ক্ষেত্রে ভালো করলেও সামাজিক সহায়তা, পছন্দের জীবন বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও উদারতায় তুলনামূলক নিচের দিকে রয়েছে সিঙ্গাপুর।