স্বাস্থ্য
সফলভাবে ১০০তম কার্ডিয়াক সার্জারি সম্পন্ন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম
বন্দরনগরীর সেরা হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম চিকিৎসা সেবার এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সম্প্রতি হাসপাতালটি তাদের ১০০তম কার্ডিয়াক সার্জারি সম্পন্ন করেছে। বুধবার (২০ মার্চ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সুখবর জানায়।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আসিফ আহমেদ বিন মঈন এই সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১০০টি সার্জারির মধ্যে ৯৩ টি ছিল করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং (সিএবিজি), ১টি সিএবিজিসহ এভিআর (এওর্টিক ভালভ রিপ্লেসমেন্ট), ৫ টি এএসডি (আট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট) ক্লোজার এবং ১টি ডিভিআর (ডাবল ভালভ রিপ্লেসমেন্ট)। উল্লেখ্য, সবগুলো সিএবিজি সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে অফ-পাম্প বিটিং হার্ট পদ্ধতিতে, যার প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রোগীই ছিলেন অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ লেফট মেইন করোনারি আর্টারিতে ব্লকের রোগী ।
এই অস্ত্রোপচারগুলোতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রোগী এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং উন্নত জীবনযাপন করছেন, ডা. মঈন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই সাফল্য আমাদের অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নিবেদিত দলের নিরলস পরিশ্রম এবং রোগীদের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম সম্পর্কে-
এভারকেয়ার চট্টগ্রাম, বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ। যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে ঝরলো আরও ৩ প্রাণ
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ৮০১ জন নতুন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ জনে। এছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ৭০১ জন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকাতেই ২৮৮ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২০৮ জন, বরিশালে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৬ জন, খুলনায় ৬১ জন, ময়মনসিংহে ২৭ জন ও রাজশাহীতে ৩৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৫ হাজার ৭০১ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে প্রাণ হারালেন আরও ৬ জন
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯২৬ জন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন করে মোট ৯২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬৫ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৭২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৪৬ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ৩৩ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে) এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৪ হাজার ৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জনের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে ১২৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়ালো ২৩ হাজার
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ১০৮ জন। এ সময় নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৩৮৮ জন রয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, বরিশালে ৭১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৩, খুলনায় ৪৮, ময়মনসিংহে ৯ ও রাজশাহীতে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৩ হাজার ১০৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এসময়ে মারা যাওয়া ১২৫ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এ রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
চট্টগ্রাম এভারকেয়ারে প্রথমবারের মতো ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড চালু
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড (আইভিইউএস) সেবা চালু করেছে। এই উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামটি রক্তনালীগুলোর ভিতর থেকে উচ্চ-রেজুলিউশনের ইমেজিং সরবরাহ করে করোনারি ধমনী রোগে আক্রান্ত রোগীদের আরও সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইভিইউএস-এ একটি ক্ষুদ্র আল্ট্রাসাউন্ড প্রোবকে ক্যাথেটারের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয় যা ধমনীর দেয়াল, প্লাক জমা ও রক্ত প্রবাহের রিয়েল-টাইম ছবি প্রদান করে। এই বিস্তারিত দৃশ্যায়ন প্রচলিত অ্যানজিওগ্রাফির চেয়েও উন্নত। যার ফলে অ্যানজিওপ্লাস্টি পদ্ধতির সময় ব্লকেজের তীব্রতা ও স্টেন্ট স্থাপনের সর্বোত্তম অবস্থান সম্পর্কে আরও সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয়।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামমের ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. শেখ মো. হাসান মামুন বলেন, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আইভিইউএস সেবা চালু করা আমাদের বিশ্বমানের কার্ডিয়াক কেয়ার প্রদানের প্রতিশ্রুতির একটি মাইলফলক। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, আমাদের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা আরও তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ফলে রোগীর ফলাফল আরও উন্নত হবে এবং একইসাথে জটিলতা কম হবে বলে আমি আশা করি।
আইভিইউএস রোগীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। এটি আরও ভালো চিত্র সরবরাহ করে চিকিৎসকদের সঠিক রোগ নির্ণয় করতে ও ব্যক্তিগত চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থার উপর ভিত্তি করে আরও ভাল যত্নের দিকে পরিচালিত করে। আইভিইউএস স্টেন্ট স্থাপনে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সহায়তা করে, স্টেন্ট ব্লকেজ হওয়ার মতো জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও, রিয়েল-টাইম ইমেজিংয়ের সাহায্যে চিকিৎসকরা প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে ও সমাধান করাসহ রোগীর সুরক্ষা উন্নত করতে পারেন।
চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হসপিটালে আইভিইউএস’র প্রবর্তন চিকিৎসা সেবার প্রতি হাসপাতালের প্রতিশ্রুতির অংশ এবং এই অঞ্চল জুড়ে রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানের প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এভারকেয়ার চট্টগ্রাম, বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন পাঁচ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৩৫৩ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০২ জন, বরিশালে ৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন, খুলনায় ৭২ জন, ময়মনসিংহে ১৩ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন ও রংপুরে ৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২০ হাজার ২১৩ জন। এদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১১৩ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।