অনেকটা চমক জাগানোর মতোই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছিল লঙ্কান লেগ স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দ হাসারাঙ্গার। অবসর ভেঙে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তিনি। তখনই ধারণা করা হচ্ছিল, কোনো বড় কিছু আড়াল করতেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের!
অবশেষে সেটাই সত্যি হয়েছে, স্কোয়াডে থাকলেও এ সিরিজে খেলা হচ্ছে না হাসারাঙ্গার। তৃতীয় ওয়ানডেতে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে বড় নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন তিনি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করার পর এ শাস্তি পেলেন তিনি। ম্যাচে ৩৭তম ওভারে ঘটনাটি ঘটান হাসারাঙ্গা।
আইসিসি জানিয়েছে, আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ নম্বর ধারা ভেঙেছেন হাসারাঙ্গা, যেটি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এতে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ম্যাচ ফি ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে।
ম্যাচের পর আম্পায়ারকে কটাক্ষ করায় একই শাস্তি পেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। শাস্তি মেনে নেওয়াতে দুজনের আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
তবে হাসারাঙ্গার ক্ষেত্রে কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল শ্রীলঙ্কার! কেননা, এ নিয়ে ২৪ মাসের ব্যাপ্তিতে আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট হলো হাসারাঙ্গার। বাংলাদেশ সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই ঘটনা ঘটান তিনি। এতে বাংলাদেশ সফরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি তার।
নিয়ম অনুযায়ী, আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। ফলে তিনি দুই টেস্ট বা চার ওয়ানডে কিংবা চারটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হবেন (যে সংস্করণের খেলা আগে)। হাসারাঙ্গাকে টেস্ট দলে রাখা হয়েছে বলে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সিরিজেই।
অন্যায়, বিশ্বকাপেই খেলা হতো না তার। কেননা, আইসিসি ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে বাংলাদেশের পর শ্রীলঙ্কার আর কোনো সিরিজ ছিল না। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার কথা তাদের।
অর্থসংবাদ/এমআই