হংকংয়ের আবাসন খাত মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ মন্দা চক্রাকার বা কাঠামোগত নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তবে উচ্চ সুদহার চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ রাখায় চলতি বছরে হংকংয়ে বাড়ির দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের শীর্ষ এ কর্মকর্তার মতে, ক্রেতাদের চাহিদা সংকোচনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো বর্ধিত সুদহার। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই হংকংয়ের আবাসন খাতে স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা যায়।
অঞ্চলটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য হংকং মনিটারি অথরিটি সাম্প্রতিক বছরে একাধিকবার সুদহার বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে এ সংখ্যা ১১ বার। বর্তমানে সুদহার এমন পর্যায়ে রয়েছে, যা সর্বশেষ ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেখা গিয়েছিল। মূলত মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে মিল রেখে সুদহার বাড়িয়েছে হংকং।
গত মাসে নতুন বাজেট ঘোষণার সময় চীনের প্রশাসনিক অঞ্চলটির অর্থমন্ত্রী পল চ্যান মো-পো সম্পত্তি কেনাবেচার ওপর আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ বাতিল করেন। ওই সময় তিনি জানান, অঞ্চলটির আর্থিক অবস্থার উন্নতি করাই নতুন বাজেটের লক্ষ্য।
বিধিনিষেধ বাতিলের ঘোষণাটি এমন সময়ে এসেছে যখন হংকংয়ে বাড়ির দাম টানা নবম মাসের মতো কমেছে। বাতিল হওয়া বিধিনিষেধের প্রথমটি হলো বায়ার্স স্ট্যাম্প ডিউটির বাধ্যবাধকতা, যা আগে অস্থায়ী বাসিন্দাদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে নেয়া হতো। দ্বিতীয়টি ছিল নিউ রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাম্প ডিউটি, যা দ্বিতীয় বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। আর তৃতীয়টি হচ্ছে স্পেশাল স্ট্যাম্প ডিউটি। এ নিয়ম অনুসারে, বাড়ির মালিক যদি দুই বছরের মধ্যে বাড়ি বিক্রি করেন তবে তাকে আলাদা কোনো শুল্ক দিতে হবে না।
এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে, আগামী তিন বছরে প্রাথমিক আবাসিক বাড়ির ইউনিটের সরবরাহ প্রায় এক লাখে পৌঁছাতে পারে, যা ২০১৫-২১ সাল পর্যন্ত ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ইউনিটের মধ্যে ছিল। বাজারের এ পরিস্থিতি দেখে উইলসন লিং পূর্বাভাস করেছেন, চলতি বছর সম্ভবত ৫-১০ শতাংশ বাড়ির দাম কমতে পারে।
অর্থসংবাদ/এমআই