রমজানের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। তবে কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর থাকলে রোজা ভাঙা যায়। কোরআনে রোজা ফরজ হওয়ার বিধান উল্লেখ করার পরপরই আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা অসুস্থ ও মুসাফিরের জন্য রোজার বিধানে ছাড় থাকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন,
فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ
তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে কিংবা সফরে থাকবে, সে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। (সুরা বাকারা: ১৮৪)
অর্থাৎ রমজান মাসে কেউ যদি অসুস্থ বা মুসাফির হয়, সে রমজানের দিনের বেলা রোজা ভাঙতে পারবে এবং অন্য সময় ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় করে নিতে পারবে। হাদিসে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্যও রোজায় ছাড় থাকার কথা রয়েছে।
ওজরের কারণে কেউ যদি রোজা না রাখতে পারে, কিন্তু তারাবিহ পড়ার সুযোগ থাকে, তার উচিত তারাবিহ পড়া। রমজানে রোজা ও তারাবিহ পৃথক আমল। রোজা না রেখেও তারাবিহ আদায় করলে তারাবিহর সওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)