মদিনার মসজিদে নববীতে প্রতিদিন ইফতারে মুসল্লিরা ১০ লাখেরও বেশি খেজুর খান। সৌদির সংবাদমাধ্যম আল ওয়াতান এই তথ্য জানিয়েছে।
রমজানে প্রত্যেক রোজাদারকে ইফতারের সময় তিন থেকে পাঁচটি করে খেজুর দেওয়া হয়। এক লাখ মিটার লম্বা স্থানজুড়ে হয় ইফতারের আয়োজন। প্রতিদিন মুসল্লিদের দেওয়া হয় ২ লাখ ৩৩ হাজার ইফতারি পণ্য।
ইফতার শেষ হওয়া মাত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে ফেলা হয়। এরপর সেখানে পড়া হয় মাগরিবের নামাজ।
রোজাদাররা রোজা ভাঙেন খেজুর দিয়ে। হযরত মোহাম্মদ (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তার দেখানো পথ অনুসরণ এবং পুষ্টিগুণ থাকায় খেজুর দিয়ে ইফতারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। খেজুরে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ।
খেজুর উৎপাদনের দিক দিয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে সৌদি আরব। তারা নিজেদের চাহিদা নিজেরাই মেটাতে পারে। সঙ্গে অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে সুস্বাদু এই ফল। দেশটিতে প্রতিবছর ১৫ লাখ টন খেজুর উৎপাদিত হয়।
গত বছর বিশ্বের ১১৯টি দেশে খেজুর রপ্তানি করে সৌদি। এই ফলটি রপ্তানি করে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিয়াল আয় করে তারা। এর আগেও খেজুর রপ্তানি করে দেশটির আয় এক বিলিয়ন রিয়াল পার হয়েছিল।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে স্থানীয়রা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ মক্কাতে যান। সেখানে কাবা শরীফে ওমরাহ পালন করেন তারা। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগ মুসল্লি যান পবিত্র নগরী মদিনাতে। সেখানে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজাতে যান তারা।