ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের প্রথম দিনের শুরুতেই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর ট্রেডিং স্ক্রিনে দেখা যায়, কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ থাকলেও ক্রেতাদের শেয়ার কেনার কোন আগ্রহ ছিলো না।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিটির আজ ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হয়েছে। তাতে দিনের শুরু থেকেই রবির শেয়ার বিক্রির হিড়িক বসেছে।
লেনদেন শুরুর দুই মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ৯টা ৩২ মিনিটে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বেচাকেনা শুরু হয়। এসময় ২৭ টাকা দরে সাড়ে ৪ লাখের বেশি শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রবির শেয়ার বিক্রি বাড়তে থাকে। তবে শুরুতেই সর্বনিম্ন দামে শেয়ার হাতবদল হওয়ায় একসময় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে কোম্পানিটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ৪৭৯ বার হাতবদলে রবির ৭ লাখ ৪৬ হাজার ২৬২টি শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২ কোটি ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। একইসময়ে ডিএসইর স্ক্রিনে ২৭ টাকা দরে ২২ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৬ শেয়ার বিক্রির আবেদন থাকলেও সেখানে কোন ক্রেতার সাড়া দেখা যায়নি।
শেয়ারবাজারের দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিএসইসির বেঁধে দেওয়া দামের নিচে নামতে পারে না। ফলে শেয়ারবাজারে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করে, পাশাপাশি কমে যায় লেনদেন।
এমন এক পরিস্থিতিতে গত ২১ জানুয়ারি প্রথম দফায় ৩৫টি বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ জানুয়ারি তুলে নেওয়া হয় আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরও তিন কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকা ৬টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
অর্থসংবাদ/এমআই