আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যে বড় ঘাটতির মুখে পড়েছে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। ২০২৩ সালে এই খাতে দেশটির ঘাটতি ছিল ২৪৯ কোটি ডলার। কারণ হিসেবে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশটির শেষ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। বিদেশ থেকে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ আমদানি বাণিজ্য বিপর্যয়ের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
বিদ্যুৎ ঘাটতির বিষয়ে দেশটির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানি বিদ্যুৎ আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৫৭০ কোটি ইউরো। ফলে ৩৫০ কোটি ইউরোর রফতানি আয় থাকা সত্ত্বেও প্রথমবারের মতো নেতিবাচক বিদ্যুৎ বাণিজ্য দেখেছে দেশটি।
সংস্থাটি আরো জানায়, ২০২৩ সালে প্রায় ৫৪ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছিল জার্মানি, যা দেশটির মোট ব্যবহৃত বিদ্যুতের প্রায় ১১ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৪২ টেরাওয়াট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাহিদা পূরণে যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে জার্মানির। কিন্তু জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে দেশটির বিদ্যুৎ খাত প্রভাবিত হয়েছে। সে সুযোগ নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো। জার্মানির পাশের দেশ থেকে পাইকারি বিদ্যুতের আমদানি বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমে যায়।
অবশ্য আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দিলেও আমদানির কারণে কিছু দিক দিয়ে লাভবানও হয়েছে জার্মানি। দেশটি ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চ ছয় দশকের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির সমাপ্তি টানে। এ কারণে পারমাণবিক সক্ষমতাকে প্রশ্রয় দেয়নি জার্মান। এর বদলে অন্য বিকল্পগুলোকে কাজে লাগিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই