ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

ফেব্রুয়ারিতে ভারতের ৪ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি

বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিভিন্ন অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে ৪ হাজার ১৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। এর পরিমাণ জানুয়ারির চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি) ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পরিষেবা রফতানির পূর্বাভাস ছিল ৩ হাজার ২১৫ কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের একই মাসে ছিল ২ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার।

তথ্যমতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের সামষ্টিক পরিষেবা রফতানি বেড়েছে ৭ শতাংশ। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৮২ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৯ হাজার ৪৮৯ কোটি ডলার।

আমদানি-রফতানির মাসিক তথ্য প্রকাশ করে সম্প্রতি ভারতের বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, ‘‌ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান নির্দেশ করে আমরা গত বছরের তুলনায় ভালো করছি। মার্চে চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সামগ্রিক রফতানি আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের পণ্য রফতানি ৪৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছিল। একই সময়ে সামগ্রিক রফতানির (পণ্য ও পরিষেবা একত্রে) পরিমাণ রেকর্ড ৭৭ হাজার কোটি ডলার স্পর্শ করেছে। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরেও দেশটির পণ্য ও পরিষেবা রফতানি ছিল রেকর্ড পরিমাণ, ৬৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

বার্থওয়ালের মতে, সামগ্রিক রফতানি প্রবৃদ্ধিতে ভারতীয় রফতানিকারকদের কৃতিত্ব উল্লেখ করার মতো। কেননা তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারের চলমান মন্দা ও লোহিত সাগর সংকটের মতো বিষয়গুলো মোকাবেলা করে রফতানি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, আপনি যদি অর্থবছরের ১১ মাসের দিকে তাকান, দেখবেন আমরা সর্বোচ্চ রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এটি পণ্য ও পরিষেষা উভয় ক্ষেত্রেই। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। আশা করছি, ভারতের সামগ্রিক রফতানি গত বছরের রেকর্ডের তুলনায় বেশি হবে।

ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রফতানি পণ্যের চালকের ভূমিকায় ছিল প্রকৌশল পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ, রাসায়নিক ও পেট্রোলিয়াম পণ্য।

গত মাসে ভারতের প্রকৌশল সামগ্রীর রফতানি বছরওয়ারি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ইলেকট্রনিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। তথ্য বলছে, ইলেকট্রনিক পণ্য রফতানি বিশেষ করে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে কোরিয়া ও ভারত। এক্ষেত্রে ভারতের হিস্যাই বড় অংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মার্কিন ইলেকট্রনিক বাজারে চীন, ভিয়েতনাম ও হংকংয়ের শেয়ার কমেছে।’

অবশ্য ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। এর পরিমাণ ১ হাজার ৮৭১ কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। মূলত স্বর্ণ আমদানি বাড়ানোর কারণে বাণিজ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিল দেশটি।

সামগ্রিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে ৬ হাজার ১১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে ভারত, যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। ওই মাসে ভারত ৫ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার