বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে কানাডা ও আর্জেন্টিনা সমালোচনা করেছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার সম্বন্ধে একটা নালিশ করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কাছে। সেই নালিশটার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। বার বার হেয়ারিং হচ্ছে। প্রতিবারই সেই নালিশটার বিষয়ে যখন আলোচনা হওয়ার দরকার তখন আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে কি প্রস্তাবনা ছিল, জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে।
তিনি বলেন, আমি আইএলও গভর্নিং বডির মিটিংয়ে বছরে দুবার বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের যে অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে তাদের জানিয়েছি। সেখানে একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে- যেখানে এবার নালিশের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে আগামী নভেম্বরে করার কথা বলা হয়েছে। আগামী নভেম্বরে আইএলও’র গভর্নিং বডির মিটিং বসবে।
আনিসুল হক বলেন, এবার আলোচনায় ২৫টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি দেশে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছে। একই সঙ্গে বলেছে, নালিশটির সমাপ্তি টানা উচিত। এর বাইরে আরও ৯টি দেশ বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে আলোচনা করেছে। শ্রমিক অধিকারের যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা স্বীকার করেছে। একই সাথে আরও অগ্রগতি হওয়া দরকার সে বিষয়ে সুপারিশ করেছে। আগামী নভেম্বরে নালিশটি নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সে ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে তারা।
তবে কানাডা ও আর্জেন্টিনা বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে সমালোচনা করেছে। তারা যেসব তথ্য দিয়েছে সেগুলো পুরোনো। আর এখন যে অগ্রগতি হয়েছে সেটা তারা বিবেচনায় নেয়নি। তাদের বক্তব্যে সেটা উঠে এসেছে। সেই ক্ষেত্রে এই যে নালিশটা প্রলম্বিত করা হচ্ছে সেটা বাংলাদেশের ওপরে সঠিক বিচার করা হচ্ছে না। আমরা আশা করছি ও আশ্বস্ত হয়েছি আগামী নভেম্বরে নালিশটার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
কাফি