জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের (জবি প্রেসক্লাব) নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় জবি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মুজাহিদ বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউছুব ওসমান, প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ শাহরিয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সদস্য ও বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জবি সংবাদদাতা অনুপম মল্লিক আদিত্য, দেশ রুপান্তর পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা আলী, সংবাদ প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সোহানুর রহমান সোহান, রাইজিং বিডির সংবাদদাতা লিমন ইসলাম, ক্যাম্পাস বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জহিদ হোসেন, দেশান্তর টুয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি সাইদ আনসারী, দ্য মেইল বিডির প্রতিনিধি জুবায়ের হাসান শান্ত সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তর সালে স্বাধীনতা শুধু বাঙালির নয়, সমগ্র মানবজাতির হতিহাসে এক অবিনাশী উজ্জ্বল অধ্যায়। আর এই অধ্যায়ের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে বাঙ্গালি জাতির মুক্তির লক্ষে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই মহান নেতার জন্মদিন উদযাপনের মধ্যদিয়ে আমাদের শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, তার জীবনকথা জানবে এবং সে সঙ্গে তারা পরিচিত হবে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাসের সঙ্গে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া শেষে জবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ বলেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের পথপ্রদর্শক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা। তিনি জনগনের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেওয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালবাসা প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু, শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট ও দপ্তর পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।