রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ফলে দূরপাল্লার প্রতিটি ভ্রমণে বাড়তে চলেছে ট্রেনের ভাড়া। আগামী এপ্রিল মাস থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ভাড়া বৃদ্ধি বা বর্তমান ভাড়া অব্যাহত রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। গতকাল শনিবার রাজবাড়ীতে তিনি বলেছেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। ২০১৬ সালে নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে রেল। গত ৮ বছরে সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেল, বগি, ইঞ্জিন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে। তবে যখন ট্রেনের ভাড়া বাড়াবো, তখন সবাইকে জানিয়েই বাড়াবো।
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। তবে নতুন ভাড়া কার্যকর হলে এসব রুটে ভাড়া বেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা। কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এক্সপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।
রেল সূত্র জানিয়েছে, যাত্রী ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা বাতিল হলেও পণ্য পরিবহনে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ, ট্রেনের যাত্রী সংকট না থাকলেও, পরিবহন করার মতো পণ্যের সংকট রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহনে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হবে।
১৯৯২ সালে ট্রেনের ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়। রেয়াত বাতিলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি পেয়েছে লোকসানে থাকা রেলওয়ে। আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হতে পারে। সেদিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ মার্চ থেকে।
অর্থসংবাদ/এমআই