কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এবং এর কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে। যাদের কিডনিজনিত রোগ আছে তাদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে স্বল্প সোডিয়াম ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া।
ফলমূলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং স্বল্প মাত্রায় সোডিয়াম ও ফসফরাস, যা কিডনির জন্য বেশ উপকারী। আবার সব ধরণের ফল কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীর জন্য ভালো নয়। যেমন কলা, খেজুর, অ্যাপ্রিকট, ড্রাই ফ্রুট ইত্যাদি পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। নাহলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
বেদানা
অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ বেদানা শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখার পাশাপাশি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই ফল। ফলে কিডনি ভালো থাকে।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, কালোজাম, চেরি ইত্যাদি ফলগুলো ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। আবার এতে সোডিয়াম ও ফসফরাস অনেক কম পরিমাণে থাকে বিধায় কিডনির জন্য বেশ উপকারী।
আপেল
আপেলে পটাশিয়াম ও ফসফরাস স্বল্প পরিমাণে থাকে বলে এটি কিডনির জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। আবার এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও আঁশও রয়েছে।
সাইট্রাস ফল
সাইট্রাস ফলের মাঝে রয়েছে কমলালেবু,আঙুর, লেবু ইত্যাদি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কিডনির পাথরের মতো রোগ ঠেকায়। অনেকেই আছেন সকালবেলা খালি পেটে গরম পানিতে লেবুর রস যুক্ত করে খেয়ে থাকেন। এতে করে পাচনতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।
আনারস
আনারসে আছে ব্রোমেলাইন, যা কিনা কিডনির পাথর দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন সি যা কিডনির জন্য বেশ উপকারী।