সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিনিয়ত লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে বাজার করতে গিয়ে দিশেহারা অবস্থা সাধারণ ক্রেতার। এমন পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট রুখতে ভোক্তাদের সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার মৌলিক অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সংগঠন দুটির নেতারা এই আহ্বান জানান। ‘কৃষক ঠকে মাঠে, ভোক্তারা ঠকে হাটে, রুখো সিন্ডিকেট, বাঁচাও কৃষক, বাঁচাও ভোক্তা, জাগো জনতা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সংগঠন দুটি।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়্যদ মাহাদী হাসান বুলবুল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান। প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপির চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান, বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ সিকদার, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাবেক সচিব ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. শহীদ মনজু, জাতীয় মুক্তিজোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে পাগলপ্রায়। তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মুরগি, মাছ, সবজি, চিনি, খেজুরসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তাদের আজ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সবার প্রশ্ন কে রুখবে সিন্ডিকেট? এরা কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী? নাকি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে? প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় ও বেতন বাড়েনি। মানুষ ন্যায্যমূল্যে আলু, ডিম, পেঁয়াজ খাওয়ার নিশ্চয়তা চায়।
তারা আরও বলেন, গত দুই বছরে সারা বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। অথচ সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে সরকারের অনেক অর্জন ম্লান হতে চলেছে। জনগণকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস করছে এই সিন্ডিকেট। এদের রুখতে হবে। এজন্য জনগণকে সজাগ হতে হবে। পাশাপাশি এই সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।