ক্যাটাগরি: জাতীয়

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে যে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে কেএসআরএম

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে পূর্বাভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলের (কেএসআরএম) সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লাইনস। তৃতীয় মাধ্যম বা অন্য কোন উপায়ে ব্যাপারটিতে সমাধানে আসতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৩ নাবিকদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার দাবি করেছে। তাতে নাবিকদের উদ্ধারে পূর্বাভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে কবির গ্রুপ।

এর আগে, এই কোম্পানির একটি জাহাজ (এমভি জাহানমণি) ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১০০ দিন পর তাদের মুক্ত করে এনেছিল কোম্পানি। ফলে এবারও পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় কবির গ্রুপ।

জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মালিকপক্ষ জিম্মি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রথমে নাবিকদের সুরক্ষার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তারা সুস্থ আছেন। জাহাজে নাবিকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এটি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতাও আছে। আমরা আশা করছি, অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নাবিক ও জাহাজটি ফিরিয়ে আনতে পারবো। প্রয়োজনে মধ্যস্থতা সংস্থা ও ব্রিটিশ বীমা কোম্পানির সহায়তা নেয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় অপহরণের শিকার জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান জানান, জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নোঙর করা আছে। জিম্মি নাবিকদেরকে জাহাজের ভিতরেই রাখা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে ৬০-৭০ জন জলদস্যু।

আতিকুল্লাহ খান বলেন, ‘নাবিকদের সামনে দিয়ে দস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাদের জিম্মি করে রাখছে। আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে।

এর আগে ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহানমণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার