জাতীয়
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্নের তাগিদ পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর
পার্বত্য চট্টগ্রামে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প কাজ ও স্কিমসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জোর তাগিদ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্র কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
তিন জেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র উন্নয়ন সভায় উপস্থিত থাকলেই চলবে না, মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যখন তখন মন্ত্রণালয়ে আসতে হবে। সব কাজের তদারকি, পরামর্শ গ্রহণ ও দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার কৌশলগুলো জানতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও এর অন্তর্ভুক্ত দপ্তরসমূহের উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে এলাকার মানুষের জন্য সুফল বয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে, কিন্তু দেশ আমাদের- দেশের মানুষ আমাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন করে যাচ্ছেন। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের যে ধারা, সে ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের সবাইকে অধিকতর দায়িত্বশীল থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদকে সচল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়নাধীন এডিপিভুক্ত প্রকল্প ও স্কিমসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ এবং অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন স্কিম গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ, ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্ট লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট ইন দ্য চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস প্রকল্প, পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প, কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্যহ্রাসকরণ প্রকল্প, সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প, পার্বত্য অঞ্চলে পল্লী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য মাস্টার ড্রেইন নির্মাণ ইত্যাদি প্রকল্পের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশীদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ, তিন জেলা পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হত্যা মামলায় প্রমাণ ছাড়া গ্রেপ্তার নয়: পুলিশ সদরদপ্তর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া হত্যা ও অন্যান্য মামলায় আসামিদের প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহার করা হবে। এ ছাড়া সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসান সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সারা দেশের থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) পাঠিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, প্রাথমিক তদন্তে কোনো আসামির সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী পরিবার বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির বিভিন্ন আদালত বা থানায় দায়ের করা মামলায় সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থান-কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মামলায় তদন্তের আগে কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নমুনা প্রশ্নে আবু সাঈদ প্রসঙ্গ
চলতি বছরের বিদ্যালয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের (বার্ষিক পরীক্ষা) নমুনা প্রশ্নে স্থান পেয়েছে সরকারিতে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের প্রসঙ্গ। নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের একটি নমুনা প্রশ্নে আবু সাঈদের একটি ইলাস্ট্রেশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে বার্ষিক সামষ্টিক ওই মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই নমুনা প্রশ্নের আলোকে বিদ্যালয়গুলো নিজেদের মতো করে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করবে।
এনসিটিবির নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ওই নমুনা প্রশ্নে আবু সাঈদের একটি ছবি দিয়ে দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদকে নিয়ে কৌশিক সরকারের আঁকা ছবি স্থান পেয়েছে নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের নমুনা প্রশ্নের একটি অংশে।
বর্তমানে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চললেও অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এজন্য আগের শিক্ষাক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে কার্যক্রম শুরুর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা তৈরি করে দিয়েছে এনসিটিবি। ওই নির্দেশিকায় বিভিন্ন শ্রেণির নানা বিষয়ের নমুনা প্রশ্নও যোগ করে দেওয়া হয়েছে।
নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের জন্য প্রস্তুত করা ওই নমুনা প্রশ্নের একাংশে বলা হয়েছে: ‘নিচের ছবিটি কৌশিক সরকারের আঁকা। ছবিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করো এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও।
‘ক. ছবির বিষয় এবং চিত্রশিল্পী/চিত্রগ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা কর।
‘খ. ছবিটি ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতার মূল চেতনা তুলে ধরে কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।’
প্রশ্নকাঠাতে দেখা গেছে, বাংলার রচনামূলক দৃশ্যপটনির্ভর অংশে ২০ নম্বর প্রশ্নে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবু সাঈদের ছবি এঁকে তা নিয়ে এই প্রশ্ন করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এবার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের খোঁজে দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ১০ জনের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে ৩০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চিঠিতে মো. অছাদুজ্জামান মিয়া, তার স্ত্রী আফরোজা আমান, ছেলে আসিফ শাহাদাৎ, মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও আসিফ মাহদিন, শ্যালক হারিচুর রহমান, আত্মীয় শাহা ইসলাম, মো. নূরুল ইসলাম লিটন, মো. ইব্রাহীম শেখ ও তাসনীম আল হকের নামে যাবতীয় হিসাবের নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
দুদক থেকে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো- তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের নামে এফডিআর, ঋণ, বিনিয়োগ, ডিপিএস কিংবা কোনো প্রকার লেনদেন থাকে তাহলে তার হিসাব, হিসাব খোলার ফর্ম, কে ওয়াই সি ফর্ম, টি পি. এবং হিসাব খোলার শুরু হতে অদ্যাবধি সময়ের হিসাব বিবরণী এবং জমা ও উত্তোলন সংক্রান্ত যাবতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন- চেক, পে-অর্ডার, জমা স্লিপ, ক্লিয়ারিং ইত্যাদি।
ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যেমন- জামানত এবং ঋণ পরিশোধের তথ্য এবং হিসাব বিবরণী এবং বিনিয়োগ কিংবা যেকোনো প্রকার লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদিসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র।
দুদক জানায়, গত ২৭ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ওই আবেদনসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ জমা হয় দুদকে। যা যাচাই-বাছাই করে গত ১৮ আগস্ট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই উপপরিচালক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামান নিজ নামে, স্ত্রী আফরোজা জামান ও তিন সন্তান আসিফ শাহাদাত, আয়েশা সিদ্দিকা, আসিফ মাহাদীন এবং শ্যালক-শ্যালিকা, ভাগনেসহ আরও অনেকের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারের অঢেল সম্পদের মধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভাঙ্গা হাইওয়ের পাশে এবং রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকাসহ আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, জোয়ার সাহারা, সাভার ও পূর্বাচলে জমি, প্লট ও বাড়ির ছড়াছড়ি।
সম্পদের মধ্যে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে সাড়ে ৭ কাঠা, আফতাবনগরে ৬ কাঠা, পুলিশ হাউজিংয়ে ৬ দশমিক ৯ কাঠা, পূর্বাচল ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ কাঠা, পূর্বাচল ৮ নম্বর সেক্টরের ১০৮ নম্বর রোডে ৫ কাঠা ও সাভারে ২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামানের নামে রয়েছে ৩২২ শতাংশ জমি, ৬৮ ও ২১৫ শতাংশ জমি, ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ জমি আছে। এছাড়া ফরিদপুরের গ্রামে আছে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি।
তার বড় ছেলে আসিফ শাহাদাতের বয়স ৩৫ বছর। যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার বয়স ৩১ বছর। ২১ বছর বয়সী ছোট ছেলে আসিফ মাহাদীন আমেরিকায় পড়াশুনা করেন। এই তিন ভাই-বোন এই অল্প বয়সেই শতকোটি টাকার সম্পদ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে রয়েছে আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ছয়তলা বিশিষ্ট আলিশান বিশাল বাড়ি, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার নামে রাজধানীর ১৩/এ, ইস্কাটন গার্ডেন ও ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের ৬৯ নম্বর বাড়িতে (বি/২/৫) ফ্ল্যাট আছে।
অভিজাত ধানমন্ডি-১২/এ-তে, ইস্কাটনে আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট, মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট রয়েছে তার।
আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামান পুরোদস্তুর গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো আয়ের সংস্থান নেই। তবে সম্পদে পিছিয়ে নেই। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক দামি ফ্ল্যাট, প্লট, ৫০ কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে কোটি-কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তার নামে।
আফেরোজার নামে রাজধানীর ধানমন্ডির ১২/এ-তে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে। আরেক দামি এলাকা ইস্কাটনেও ফ্ল্যাট আছে তার। অপর একটি আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ৬ তলাবিশিষ্ট বিশাল বাড়িও রয়েছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখোলা মৌজায় আফরোজা জামানের নামে ৪১ শতাংশ জমি রয়েছে। একই মৌজায় তার নামে রয়েছে আরও ২৬ শতাংশ জমি। একই মৌজায় তার নামে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেনা হয় আরও ৩৯ শতাংশ জমি। এছাড়া জোয়ার সাহারা মৌজায় ৫ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ১০ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ৩৯ শতক জমি রয়েছে তার। এছাড়াও আফরোজা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইর-কায়েতপাড়া মৌজায় দশমিক ২৮ একর, একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমির মালিক।
ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে আফরোজা জামানের যে বিপুল পরিমাণ জমি কেবল সেগুলোর বর্তমান বাজারমূল্যই শত-শত কোটি টাকা। অথচ, তার মতো একজন গৃহিনীর পক্ষে এত জমি কেনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এছাড়া শেপিয়ার্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামের আরেকটি কোম্পানির চেয়ারম্যান আফরোজা জামান। অথচ তিনি একজন আগাগোড়া গৃহবধূ, যার কোনো নিজস্ব পেশা ছিল না। এই কোম্পানির পরিচালক আছাদুজ্জামানের বড় ছেলে আসিফ শাহাদাত।
মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার নামে রাজধানীর ৫৬/৫৭, সিদ্ধেশ্বরী রোডে রূপায়ণ স্বপ্ন নিলয় ৩ নম্বর বিল্ডিংয়ে ৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট আছে। এছাড়া তার নামে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট আছে। ২০২১ সালে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা সাদাও করেছেন তিনি, যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
ছোট ছেলে আসিফ মাহাদিনের নামে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ৮/এ রোডের ৬ নম্বর ট্রিপ্লেক্স বৈশিষ্ট্যের বাড়িটি তার নামে। এটির বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া আফতাবনগরেও তার নামে ৫ কাঠা প্লট আছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামান মিয়া গাজীপুরের শ্রীপুরে দেড় একর জমির মালিক। ভাগ্নে ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম ও শ্যালক নূর আলম ওরফে মিলনের নামে কেনা হলেও তারা কার্যত বেকার অর্থাৎ তাদের কোনো আয় নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামানের শ্যালক-শ্যালিকার নামেও সম্পত্তির ছড়াছড়ি। তাদের নামেও কোটি কোটি টাকার জমি রয়েছে। শ্যালিকা ফাতেমাতুজ্জোহরার নামে ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, খুলনায় বাড়ি এবং মোহাম্মদপুরে একাধিক জমি রয়েছে। পরিবহন ব্যবসাও রয়েছে তার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যবসা একটা সংগ্রাম, আমরা সংগ্রামকে সহজ করব: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ব্যবসা করা একটা সংগ্রাম, এ সংগ্রামটা আমরা সহজ করব। তিনি বলেন, আমরা একটা আশা, যতদিন থাকি শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাব। শ্রমিক, মালিক, সরকার একসঙ্গে টিম হয়ে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার চিত্র তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রথাগত আন্দোলন ছিল না। ‘তারা এটা জেনেই রাস্তায় নেমেছিল যে, নাও ফিরতে পারে বাড়িতে। প্রাণের বিনিময়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করে গেছে।’
নতুন বাংলাদেশের জন্য তরুণদের লড়াইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারা এ সুযোগ না করে দিলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। তাই আমাদের সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘এ সুযোগ জাতির জীবনে বারবার আসে না। অতীত আর টানবে না আপনাকে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটা যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর হারালে জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকব না।’
নতুন বাংলাদেশ হিসেবে উত্তরণ অনেক কঠিন কাজ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়েই টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।’
মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেলে, অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে সে দেশটাকে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে
ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে এ মামলা করা হয়। মামলায় আছাদুজ্জামান মিয়া এজাহারনামীয় ১২ নম্বর আসামি।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নুরুজ্জামান জনি নিহত হন। এর প্রায় ১০ বছর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর জনির বাবা ইয়াকুব আলীর করা খিলগাঁও থানার মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআই