সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এশিয়ায় রাশিয়ার কয়লা রফতানি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোয় জ্বালানিটির দাম কম থাকায় প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে রাশিয়া।
এদিকে লোহিত সাগরে সংঘাতের কারণেও ইউরোপ ও ভারতের বাজারে হুমকির মুখে রুশ কয়লা রফতানি। তাপীয় ও কোকিং উভয় রুশ কয়লার জাহাজীকরণই দুর্বল হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্স।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের হিসাব অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া এশিয়ায় মোট ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রফতানি করে, জানুয়ারিতে যা ছিল ৮৩ কোটি ৭০ লাখ টন। গত মাসে কিছুটা বাড়লেও এর আগে টানা ছয় মাস নিম্নমুখী ছিল রফতানি। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে রফতানির পরিমাণও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
রুশ কয়লার সবচেয়ে বড় বাজার ছিল ইউরোপ। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় রাশিয়া। বিকল্প হিসেবে এশিয়ার বাজারে রফতানি বাড়াতে শুরু করে দেশটি।
রাশিয়া গত বছরের এপ্রিলে এশিয়ার বাজারে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার টন কয়লা রফতানি করে, যা যুদ্ধের প্রথম দিকের কয়েক মাসের রফতানির দ্বিগুণেরও বেশি। ওই সময় রফতানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে ভারত।
দেশটি আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়ার মাধ্যমে ভারতের বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষ করে দেশটিতে তাপীয় কয়লা রফতানি হয়েছে বেশি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এটি ব্যবহার হয়।
তবে এশিয়ার হেভিওয়েট রফতানিকারক ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাজারদরে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা দেশটির কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিযোগী সক্ষমতায় এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও।
ফেব্রুয়ারিতে ভারতে রাশিয়ার তাপীয় কয়লা রফতানি কমে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৫ টনে নেমেছে, জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার টন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটি দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন কয়লা রফতানি করেছে।
আরগাস মিডিয়ার দেয়া তথ্য বলছে, প্রতি কেজিতে ৪ হাজার ২০০ কিলোক্যালোরির প্রতি টন ইন্দোনেশিয়ান কয়লার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৫৮ ডলার ১৭ সেন্ট। গত বছরের নভেম্বর থেকেই সংকোচনের মুখে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ান কয়লার মূল্য, গত বছরের জানুয়ারিতে যা আকাশচুম্বী ছিল। ওই সময় প্রতি টন লেনদেন হয়েছিল ৮৭ ডলার ৫৫ সেন্টে।
৫ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরির প্রতি টন অস্ট্রেলিয়ান কয়লার দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯৫ ডলার ৭৭ সেন্ট, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯৬ ডলার ৬৬ সেন্ট। নভেম্বর থেকে এটি ৯৩-৯৬ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
কাফি