ঈদুল ফিতরের সময় নৌপথে দুর্ঘটনায় এড়াতে ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার (১৩ মার্চ) ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া আগামী ৬ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবহাওয়া সংকেত অনুসরণ করে লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। ঈদুল ফিতর কালবৈশাখি মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। রাতের বেলায় সবধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেসবিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক বা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। ঈদের আগে ৫ দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সব যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগনমকারী সব যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল পরিবহন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদুল আজহা, ২০২৩ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।