ক্যাটাগরি: জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য জেআরপিতে ৮৫ কোটি ডলার সহায়তার আবেদন

রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় সা‌ড়ে ১৩ লাখ‌ মানুষের সহায়তায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলারের আবেদন করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বুধবার জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৪ সালের জেআরপিতে এ অর্থায়ন চাওয়া হয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের জন্য ২০২৪ সালের কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) আজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণ মিলিয়ে মোট ১৩.৫ লাখ মানুষের সহায়তায় ৮৫২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন জানানো হচ্ছে।

কর্ম-পরিকল্পনাটি ও আনুষঙ্গিক আর্থিক চাহিদা আজ জেনেভায় দাতাদের সামনে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন,  প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক এমি পোপ।

যৌথ কর্ম-পরিকল্পনায় যুক্ত থাকছে ১১৭টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি। এর লক্ষ্য কক্সবাজার ও ভাসান চরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ৩ লাখ ৪৬ হাজার স্থানীয়র জনগণকে খাদ্য, আশ্রম, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, সুরক্ষা পরিষেবা, শিক্ষা, জীবিকামূলক কাজের সুযোগ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়তা করা।

ইউএনএইচসিআর জানায়, বাংলাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং তারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এই শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু, আর তারা শোষণ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন টেকসই সহায়তা।

এই মানবিক সংকটটি যখন বৈশ্বিক মনযোগ হারিয়ে ফেলেছে, তখন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ ও দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রয়োজন টেকসই আন্তর্জাতিক সমর্থন।

ইউএনএইচসিআর বল‌ছে, বিগত বছরগুলোর অপর্যাপ্ত তহবিল মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তারা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে, আর তাদের সমস্যা আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত জনবহুল শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জীবন পুরোপুরিই অনিশ্চিত, আর তারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার