মালয়েশিয়ায় ফেব্রুয়ারিতে পাম অয়েলের মজুদ ৫ শতাংশ কমেছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২০ হাজার টনে। মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বোর্ড জানায়, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ ২০ লাখ ২০ টনে ওঠার মধ্য দিয়ে রেকর্ড স্পর্শ করে। কিন্তু গত মাসে মজুদ প্রায় এক লাখ টন কমে যায়। সর্বশেষ প্রতিবেদনে বোর্ড জানায়, গত মাসে অপরিশোধিত পাম অয়েলের মজুদ ২ দশমিক ৮৫ কমে ১০ লাখ ৩০ হাজার টনে নেমেছে, জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার টন।
এদিকে প্রক্রিয়াজাত পাম অয়েলের মজুদ ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ১২১ টনে নেমেছে, জানুয়ারিতে যা ছিল ৯ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টন।
মজুদের পাশাপাশি কমেছে উৎপাদনও। গত মাসে দেশটির অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখ ৬০ হাজার টনে, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৪ লাখ টন। অর্থাৎ উৎপাদন ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে। পাম কার্নেল উৎপাদন ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৭১ টনে নেমেছে।
বোর্ড আরো জানায়, গত মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। রফতানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার টন, জানুয়ারিতে যা ছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন। তবে ওলেকেমিক্যাল রফতানি দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৬৩ টনে উন্নীত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হচ্ছে পাম অয়েল উৎপাদন। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ বায়োডিজেল ম্যান্ডেট। ফলে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এ ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। সিংহভাগ সরবরাহই আসে এ দুই দেশ থেকে। চলতি বছর এ দুই দেশে পণ্যটির উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। উৎপাদন বাড়লেও সেটি হবে খুবই সামান্য। কারণ হিসেবে বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, দুই দেশে পাম ফলের বেশির ভাগ বাগানই অনেক পুরনো। নতুন বাগানও গড়ে উঠছে না। পুরনো বাগানগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা অনেকটাই ফুরিয়ে এসেছে।