বিশ্বজুড়ে গত পাঁচ বছরে অস্ত্র বাণিজ্য কমে আসার দিনে ইউরোপে বেড়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ এ সময় অস্ত্র বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে বলে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। খবর ইউরো নিউজ।
ইউরোপে ২৩ শতাংশ হিস্যা নিয়ে ২০১৯-২৩ সাল মেয়াদে বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক ছিল ইউক্রেন। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপের মোট অস্ত্র আমদানির ১১ শতাংশ দেশটির দখলে। নেদারল্যান্ডস আমদানি করেছে ৯ শতাংশ।
এ সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর আমদানি করা অস্ত্রের ৫৫ শতাংশ সরবরাহকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ২০১৪-১৮ সাল সময়সীমায় বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যে এ হিস্যা ছিল ৩৫ শতাংশ। সর্বশেষ পাঁচ বছরে ইউরোপে আমদানি করা অস্ত্রের অন্যান্য উৎস হলো এশিয়া, ওশেনিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য।
সর্বশেষ পাঁচ বছরে অস্ত্র বিক্রেতা হিসেবে এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। ওয়াশিংটন ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-২৩ সাল মেয়াদে ১৭ শতাংশ এবং প্যারিস ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে।
এ সময় ১০৭টি দেশে অস্ত্র সরবরাহ করে মোট বৈশ্বিক রফতানির ৪২ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে। অন্যদিকে ভারত, কাতার ও মিসরে যুদ্ধবিমান সংগ্রহের কারণে ফ্রান্সের রফতানি বেড়েছে।
এছাড়া প্রথমবারের মতো অস্ত্র রফতানিতে রাশিয়ার তুলনায় এগিয়ে গেছে ফ্রান্স। এবার রাশিয়ার রফতানি কমেছে ৫৩ শতাংশ। ২০১৯ সালের ৩১টি দেশে মস্কো অস্ত্র রফতানি করলেও গত বছর নেমে আসে ১২-তে।
ফরাসি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ভারত, যা দেশটির মোট রফতানির প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে ভারতের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। মস্কো থেকে মোট আমদানির ৩৬ শতাংশ পেয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে কিছু দেশে অস্ত্র রফতানি কমেছে। চীন ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ১৪, স্পেন ২ দশমিক ২ ও ইসরায়েলের ২৫ শতাংশ অস্ত্র রফতানি কমেছে।
২০১৯-২৩ সালে পশ্চিম ইউরোপের ৭২ শতাংশ আমদানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আবার একই সময়ের বৈশ্বিক রফতানির এক-তৃতীয়াংশ করেছে ইউরোপ। বিশ্বের শীর্ষ ১০ অস্ত্র রফতানিকারকের মধ্যে রাশিয়া বাদে মোট পাঁচটি দেশই ইউরোপীয়— ফ্রান্স (দ্বিতীয়), জার্মানি (পঞ্চম), ইতালি (ষষ্ঠ), যুক্তরাজ্য (সপ্তম) ও স্পেন (অষ্টম স্থান)। একই সময়ে আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের প্রায় ৩০ শতাংশ গেছে মধ্যপ্রাচ্যে, এ অঞ্চলের শীর্ষ তিন ক্রেতা ছিল সৌদি আরব, কাতার ও মিসর। মধ্যপ্রাচ্যে বেশির ভাগ অস্ত্র সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র (৫২ শতাংশ), ফ্রান্স (১২ শতাংশ), ইতালি (১০ শতাংশ) ও জার্মানি (৭ দশমিক ১ শতাংশ)।
অর্থসংবাদ/এমআই