২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার বিল কালেকশনে সর্বোচ্চ পরিমাণ অবদান রাখায় ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রথম স্থান অর্জন করলো দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বিকাশে পানির বিল পরিশোধ খুবই সহজ, সময় ও খরচ সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত হওয়ায় দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বিল পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে গ্রাহকরা বিকাশ-কেই বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ পানির বিল, ২২২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন গ্রাহকরা বিকাশের মাধ্যমে।
রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসা “বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২-২০২৩ অর্থবছর” শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা এবং ঢাকা ওয়াসার এমডি ও সিইও প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের উপস্থিতিতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।
এ প্রসঙ্গে বিকাশে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বিকাশ-এর মতো সেবা আসার পর এখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রাহকের বিল ওয়াসার কোষাগারে জমা হচ্ছে যার জন্য আগে অনেক সময় প্রয়োজন হতো। আর গ্রাহকরাও এখন ডিজিটাল পদ্ধতি বিল পরিশোধে আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। আমাদেরকে এই উদ্ভাবন আনার সুযোগ দেওয়ার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। গ্রাহকদের আস্থা বজায় রেখে, তাদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সব নিয়ম মেনে যেন সবাই খুব সহজেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন তার জন্য যত প্রকার উদ্ভাবন আনা প্রয়োজন সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় কাজ করে যাব।”
উল্লেখ্য, শুধু পানির বিল পরিশোধই নয়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, ভুমি সেবা, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি ফি এবং ইন্টারনেট, টিভি ইত্যাদি সহ প্রায় সব ধরনের বিল পরিশোধ করার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম বিকাশ। প্রতিনিয়ত আরো নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে বিকাশের তালিকায়। গ্রাহক চাইলে বিল প্রদানের পর পরিবেশ-বান্ধব ডিজিটাল রশিদ/রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া, বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার পোস্টপেইড গ্রাহকরা বকেয়া বিলের নোটিফিকেশনও পাচ্ছেন ‘পে বিল’ আইকন থেকেই।
কাফি