জেড ক্যাটাগরি ও ফ্লোর প্রাইস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব নিয়ে সতর্ক করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রবিবার (১০ মার্চ) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস ও জেড ক্যাটাগরির বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এমুহূর্তে কমিশনের বিবেচনায় নেই। এরকম গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।
জানা গেছে, গত সোমবার (০৪ মার্চ) নতুন করে ৬ কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হয়েছে। তবে নতুন করে গুজব উঠেছিলো আরোও বেশকিছু কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে এবং যেসব কোম্পানির শেয়ারে এখনো ফ্লোরপ্রাইস বহাল রয়েছে সেগুলোর ফ্লোরপ্রাইস উঠে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কয়েকটি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব তালিকার মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যেই জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে। তারপরেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব ভিত্তিহীন গুজব বিশ্বাস করে আতঙ্কিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে এমন গুজবে পুঁজিবাজারে পতন হয়েছে বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে নতুন করে কোনো কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কমিশন নেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সর্বশেষ আদেশ অনুযায়ী যেসব কোম্পানির শেয়ার থেকে ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে তার বাহিরে আর কোনো কোম্পানির ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ অর্থসংবাদকে জানিয়েছিলেন, অল্প কিছু কোম্পানি ফ্লোরপ্রাইসে আছে সেগুলো হয় তো তুলে দেবে কমিশন। সেই সঙ্গে নতুন করে বেশকিছু কোম্পানির শেয়ার জেড ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে বলে গুজব উঠেছে। জেড ক্যাটাগরি নিয়ে যে গুজব তা বাজার পতনের বড় ইস্যু না। তবে অনেকেই আছে যারা এসব গুজব বিশ্বাস করেন এবং তার প্রভাবও বাজারে পড়ে।
তিনি বলেন, অনেক জেড ক্যাটাগরির শেয়ারও রয়েছে যেগুলো টার্নওভারে শীর্ষে থাকে। কিভাবে লোকসানে ও উৎপাদন বন্ধ কোম্পানিগুলো টপটেন গেইনারে থাকে এটা বিনিয়োগকারীদের বোঝা উচিৎ। সুদের হার বৃদ্ধির ফলে শেয়ারের দরপতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসএম