পুঁজিবাজার
অডিটের মান বাড়াতে নীতিমালা তৈরিতে বিএসইসির উদ্যোগ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা বা অডিট করে থাকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্ধারণ করা অডিট প্রতিষ্ঠানগুলো। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন এসব অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান ছাড়া নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই। তাই ওইসব অডিট ফার্ম ও অডিটরের মান বাড়ানো এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
এর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করার জন্য অডিট প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা ছিল না। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেস টু কেস অডিট প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো। তাই এবার অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে নীতিমালা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আল মামুন মৃধা, সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম ও সহকারী পরিচালক তন্ময় কুমার ঘোষ। এ কমিটির আহ্বায়ক হলেন- বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন তন্ময় কুমার ঘোষ।
বিএসইসির জারি করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, “অডিট ফার্ম ও অডিটর তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশিকা” প্রণয়নের লক্ষ্যে বিএসইসির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হলো। গঠিত কমিটি আলোচ্য বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
এ বিষয়ে শনিবার (৯ মার্চ) রাতে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, অডিট ও অডিটর প্রতিষ্ঠান এতোদিন বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় ছিল। এসব প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে নীতিমালার কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা ছিল না। তবে এখন অডিটর প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কমিশন একটি উদ্যোগ নিচ্ছে। কমিশন চাচ্ছে এ বিষয়ে একটা নীতিমালা থাকা জরুরি। এ নীতিমালায় এসব প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকবে। এসব শর্ত মেনেই অডিট ফার্ম এবং অডিটররা বিএসইসির তালিকাভুক্ত হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হলে তা আগামীতে প্রকাশ করা হবে। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানের মান আরও উন্নত হবে।
তথ্য মতে, দেশের পেশাদার হিসাববিদদের সংস্থা দ্যা ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সদস্যভুক্ত ২০৫টি অডিট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫টি অডিট প্রতিষ্ঠান বর্তমান বিএসইসি অডিটর প্যানেলে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানই কেবল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করে থাকে।
সর্বশেষ বিএসইসির প্রকাশিত ৪৫টি অডিট ফার্মের তালিকায় রয়েছে- এ হক এন্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এ কাশেম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, আহসান মনজুর অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, আহমেদ মাশুক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অনিল সালাম ইদ্রিস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এ ওহাব অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, একনাবিন চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আশরাফ উদ্দিন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, বসু ব্যানার্জি নাথ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফেমস অ্যান্ড আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হাবিব সরোয়ার ভুঁইয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হক ভট্টাচার্য দাস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম জাহিদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কে এম আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কে এম হাসান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কাজী জহির খান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, খান ওহাব শফিক রহমান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম জে আবেদীন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম এম রহমান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, মাশিহ্ মুহিত হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এম জেড ইসলাম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, অক্টোখান চ্যার্ট্যার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, পিনাকি অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, রহমান রহমান হক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, শফিক বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, সাইফুল সামসুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, স্নেহাশিষ মাহমুদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, এস কে বরুয়া অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, তোহা খান জামান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, জোহা জামান কবির রশিদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, হুসাইন ফরহাদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, নুরুল ফারুক হাসান অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং মালেক সিদ্দিক ওয়ালি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।
ইতিপূর্বে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে কোনো কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন অডিট করারর জন্য কোনো অডিট প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারতো। এ বিষয়ে তেমন কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। কিন্তু কিছু অডিট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজি করার অভিযোগ উঠে। তাই ২০১৬ সাল থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিএসইসি প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিরীক্ষকের তালিকা বা প্যানেল অব অডিটর্স তৈরি করে। কিছু দিন পর অডিটর প্যানেলের পুনর্গঠিত হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে থাকে বিএসইসি, যা ধারাবাহিক ভাবে চলমান রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নীতিমালা না থাকায় নতুন করে তা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ দেবে না সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড
সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। ফান্ড ম্যানেজার সিএপিএম অ্যাডভাইজরি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর ইউনিট প্রতি ৫৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে ক্রয় মূল্যে ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৮৫ পয়সা। ওইদিন বাজার মূল্যে ফান্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য ছিল ৮ টাকা ৬৭ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নিজস্ব টাওয়ারে নতুন পরিচালনা পর্ষদের ২৫তম জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফখরুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মো. মোকাদ্দেস হোসেন।
সভায় নতুন পর্ষদের সদস্য নাজনীন হোসেন, মোহাম্মদ শামছুল হক, মো. হেলাল মিয়া, আয়েশা হুসনে জাহান ও মুসলিমা শিরিন।
স্বতন্ত্র পরিচালক শেখ মোহাম্মদ শোয়েব নাজির, ডা. শাহিন সুলতানা জলি ও মো. মোশাররফ হোসেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানীটি অচিরেই গ্রাহক এবং জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে তার গৌরব ফিরে পাবে বলে আশা করেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মো. মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের যাত্রা শুরু হয়েছিল, গ্রাহক এবং আপামর জনসাধারণের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে এই ১০ কোম্পানির মোট ৩৭২ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি), রেনেটা, প্রাইম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, যমুনা অয়েল, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, বিচ হ্যাচারি, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লকে সবচেয়ে বেশি বিএটিবিসির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লকে কোম্পানিটির ১৬৮ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেনেটার ৬৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৭৬১ টাকা ১০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাইম ব্যাংকের ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- যমুনা ব্যাংকের ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, যমুনা অয়েলের ২২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ১৫ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৭ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে তিন খাতে। ফলে সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে রয়েছেন এই তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা। একই সময়ে দর বেড়েছে ১৭ খাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পেপার ও প্রিন্টিং খাতের। এই খাতে দর কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক খাতে দর ০ দশমিক ৬০ শতাংশ কমে দ্বিতীয় স্থানে এবং ভ্রমণ অবকাশ খাতে দর ০ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এছাড়া, আলোচ্য সপ্তাহে যে ১৭ খাতে দর বেড়েছে এদের মধ্যে বস্ত্র খাতে দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাত ও পাট খাতে সমান ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১৭ খাতে। ফলে এই ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা আলোচ্য সপ্তাহে মুনাফায় রয়েছে। একই সময়ে দর কমেছে ৩ খাতে।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতের শেয়ারে। বিদায়ী সপ্তাহে এখাতে দর বেড়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে দর বেড়ে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। একই সময়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সাধারণ বিমা খাত।
সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য ১৪ খাতের মধ্যে বস্ত্র খাতে দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাত ও পাট খাতে সমান ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এসএম