বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমতির খবর দিলো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও। ভোজ্যতেল, গম, মাংস ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যের দাম নেমেছে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। তবে ভোক্তাকে ভোগাতে উল্টোপথে হেঁটেছে চিনি।
এমন চিত্রই উঠে এসেছে শুক্রবার (৮ মার্চ) প্রকাশিত সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদনে।
দানাদার খাদ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি জানিয়েছে, গেল জানুয়ারির তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে দাম কমেছে ৫ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় যা প্রায় সাড়ে ২২ শতাংশ (২২.৪) কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ভুট্টার ভালো উৎপাদনের সঙ্গে সমুদ্রপথে স্বাভাবিক গতিতে পণ্য পরিবহনে ইউক্রেনের সবুজ সংকেত ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে পণ্যটির দাম। আর গমের দাম কমতির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, চাহিদা কমের বিপরীতে রাশিয়ার বাড়তি রফতানি।
ভোজ্যতেলের দামও কমেছে ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্ববাজারে গত বছরের ফেব্রুয়ারি যে দামে মিলেছে এই পণ্যটি, গেল ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে তারচেয়ে ১১ শতাংশ কমে। সয়া, সানফ্লাওয়ার আর রাই-সরিষার মতো পণ্যের দাম পড়ে যাওয়ার সুফল পেয়েছেন ভোক্তারা। তবে গত মাসে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে কিছুটা।
এদিকে এক বছর আগের তুলনায় দুগ্ধজাতীয় পণ্যের দাম প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ কম থাকলেও জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ১ শতাংশের কিছুটা বেশি। এই ঊর্ধ্বমুখিতার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, চীনে গুঁড়ো দুধের আমদানি বৃদ্ধি; যা প্রভাবিত করেছে ইউরোপের বাজারে দাম বৃদ্ধিকে।
এ ছাড়া সাত মাস কমার পর গত মাসে বেড়েছে মাংসের দাম। এ সময়ে গবাদি পশুর মাংসের দাম কিছুটা কমলেও চীনে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে শূকরের মাংসের দাম।
অন্যদিকে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মিলে বিশ্ববাজারে টানা দু-মাস বাড়ল চিনির দাম। এফএওর হিসাবমতে, এক বছর আগের তুলনায় গত মাসে চিনি বেচাকেনা হয়েছে সাড়ে ১২ শতাশ বেশি দামে।