গেল কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন সব রোগ। অনেকে দাবি করেন, করোনা মহামারির পর এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব আরও বেড়েছে। এবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রহস্যময় এক জ্বর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন গেল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘সিটাকোসিস’ নামের এই জ্বরে এরই মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আরেক নাম ‘প্যারট ফিভার’। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে ‘প্যারট ফিভারে’ আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে, মূলত সংক্রমিত পাখিদের থেকেই এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে। গত বছরের শেষদিক থেকেই এই সংক্রমণের প্রকোপ বেড়েছে ইউরোপজুড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিটাকোসিসে আক্রান্ত হলে মূলত রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ শুরু হয়। ‘ক্ল্যামিডোফিলা সিট্যাকি’ নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণেই এই রোগ হয়। ব্যাকটেরিয়াগুলো সাধারণত পাখিদের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে পোষা ও বন্য পাখিও থাকতে পারে।
এমনকি পোল্ট্রি থেকেও ছড়াতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। আক্রান্ত পাখির মধ্যে লক্ষণ না দেখা গেলেও, এর দেহ থেকে মানুষের শরীরে আসতে পারে ব্যাকটেরিয়া।
এই রোগের উপসর্গগুলো হলো- মাথায় যন্ত্রণা, তীব্র জ্বর, অস্থিসন্ধির ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা ও শুকনো কাশি।
ডব্লিউএইচও বলছে, ক্ল্যামিডোফিলা সিট্যাকি ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার ৫–১৪ দিন পর সিটাকোসিসের উপসর্গগুলো শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। সময়মতো ধরা পড়লে বিশেষ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
এসএম