বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার এক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা এই আদেশ দেন।
একই মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় এবং তিনি আত্মসমর্পণ না করায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে ক্রোকের এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাবিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে ব্যর্থ হন আসামিরা। এরপর ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয়বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য একটি চেক দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা সময়ক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান। পরে এ ঘটনায় অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার এ মামলা করেন বাদী।