দেশের আরও দুটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। কারখানাগুলো হলো আশুলিয়ার প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইলস এবং টঙ্গীর ইউনিয়ন স্পোর্টসওয়্যার। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১১–তে।
কারখানা দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইলস লিড প্লাটিনাম এবং ইউনিয়ন স্পোর্টসওয়্যার লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল পেয়েছে ৮১ নম্বর। আর ইউনিয়ন স্পোর্টসওয়্যারের নম্বর ৬৯।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১১। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৭টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস।
অর্থসংবাদ/এমআই