প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, শিশুর কোমল মনে মা ও মেয়েদের প্রতি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সংবেদনশীলতা, শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ জাগ্রত করার বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী দিবস নিয়ে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ বিনিয়োগ তার আর্থিক ক্ষমতা সৃষ্টি করবে এবং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্তগ্রহণে নারী সক্ষমতা অর্জন করবে।
রুমানা আলী বলেন, আমি শিক্ষকতা পেশায় কেনে এসেছি, কারণ আমাকে সংসার দেখতে হবে। পরিবার যদি পাশে থাকে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সব ছেলেরা একরকম না। আমার হাজবেন্ড অন্যদের থেকে আলাদা। আমি ল পড়েছি। আমার একমাত্র সহযোগী ছিলেন আমার হাজবেন্ড। ফ্যামিলির ও আশপাশের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। সমস্যা অনেক আছে, সমাধানও করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট লোক তৈরি করতে হবে। তার জন্য শিক্ষা দিয়েই নারীদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। কোন জেন্ডার বৈষম্য না রেখে নারী-পুরুষ সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেই ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এবং মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে ডিক্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ নারী দিবস সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননা পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেহেলী বলেন, নারীর প্রতি অর্থনৈতিক বিনিয়োগ খুবই দরকার। পরিবার থেকেই আমরা সাহস পেয়ে থাকি। বিশেষ করে, পুরুষদের মাধ্যমেই আমরা উৎসাহ পাই। কূটনীতিক হিসেবে নারীরা কোনোভাবে পেছনে নেই। পুরুষদের ওই অর্থে প্রমাণ দিতে হয় না, আমাদেরকে যেভাবে প্রমাণ দিতে হয়। নারী-পুরুষ একসঙ্গে মিলে যদি আমরা কাজ করি, তাহলে যে কোনো কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা অ্যাকাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা শামীম আজাদ, বক্সার তামান্না হক প্রমুখ।
ইসরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বক্তব্য দেন।