প্রথম ম্যাচের মতোই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি গড়ার লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার। তবে কারও ইনিংসই বেশি বড় হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ক্রিজে থিতু হতে যাওয়া প্রায় লঙ্কান ব্যাটারদেরই ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন সৌম্য-মেহেদীরা। সঙ্গে ছিল শরিফুল ইসলামের সর্বনিম্ন ইকোনমির বোলিং। যদিও মাঝে বাংলাদেশ একটি রানআউটের ভাগ্য কাজে লাগিয়েছে। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ওভারে লঙ্কানদের রানের মধ্যে আটকে রেখেছে টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও সেই ধাক্কা সামলেছেন কামিন্দু-কুশল মেন্ডিসরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে কামিন্দুর ব্যাটে। এছাড়া কুশল ৩৬ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩২ রান করেছেন।
এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে লঙ্কানদের। সেই চ্যালেঞ্জের শুরুটা ভালো ছিল টাইগারদের। তবে তাতে বড় অবদান শরিফুলের। প্রথম ওভারে তিনি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মেডেন নিয়েছেন। পরের ওভারের প্রথম দুই বল ডট দেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় সিঙ্গেল রান নেন কামিন্দু। তখনও রানের খাতা খুলতে না পারা আভিষ্কা ফার্নান্দোর ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। তাসকিনের কিছুটা লাফিয়ে কোমর সমান ওঠা বলে খেলতে গিয়েই উইকেট দিয়ে ফেরেন আভিষ্কা। ৭ বল মোকাবিলায় কোনো রান না নেওয়া এই ব্যাটার ক্যাচ দেন তাসকিনের হাতেই।